১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১লা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

যেভাবে করোনার থাবা থেকে রক্ষা পেল তাইওয়ান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 সোনাই ডেক্স:করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিকে মহামারী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১,৬৯,৬১০ জন হয়েছে। এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের কারণে ১৫৭টি দেশে ৬৫১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে। এদিকে, চীনের প্রতিবেশী দেশ হওয়া সত্ত্বেও তাইওয়ানে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখনো ৫০ এর নিচে। অথচ উহানের খুব কাছে হওয়ার সেখানে ভাইরাস মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি ছিল।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাইওয়ান ভাইরাসকে আটকে দিতে সক্ষম হয়েছে।তাইওয়ান করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার যে প্রচেষ্টা চালিয়েছে তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসা পেয়েছে।

এ বিষয়ে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের এক কর্মী বলেছেন, সার্স মহামারীর পর থেকে ‘আবার পৃথিবীর পেছনে চলে যাবো’ এই ভয়ে আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছি।

শনিবার  তাইওয়ানের একজন নেটিজেন ফেসবুকের এক পোস্টে জানান, রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য তাইওয়ানের কেন্দ্রগুলোতে যারা কর্মরত আছেন তারা দ্বীপ দেশটিতে সার্স সংক্রমণের পর থেকে এই জাতীয় বিপর্যয়ের জন্য মহড়া দিয়েছেন।তিনি বলেছেন, তাইওয়ান ১৭ বছর ধরে প্রস্তুতি নিয়েছে।

চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে গত বছর ডিসেম্বরের শেষ দিকে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব ঘটে। এরপর বিশ্বজুড়ে এক লাখ ৬৯ হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ১৫৭টি দেশে। আর  মৃত্যু ৬৫১৮ জনের।উহানে করোনা প্রাদুর্ভাবের পর বলা হয়েছিল, চীনের মূলভূখণ্ডের বাইরে তাইওয়ানে এই ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হবে। অথচ চীনে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হলেও তাইওয়ানে এই সংখ্যা এখনো পঞ্চাশের নিচে।এ বিষয়ে ‘পাবলিক হেল্থ পলিসি’ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্টানফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞ ডা. জেসন ওয়াং বলেন, তাইওয়ান সম্ভাব্য সংকটের ভয়াবহতা আগেই বুঝতে পেরেছিল এবং ভাইরাসের চেয়ে এগিয়ে থাকতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০০২ ও ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর তাইওয়ান ন্যাশনাল হেল্থ কমান্ড সেন্টার (এনএইচসিসি) গঠন করে পরবর্তী সংকট মোকাবেলায় প্রস্তুত হয়েই ছিল।উহানে করোনা প্রাদুর্ভাবের পরপরই তাইওয়ান সরকার চীনের মূলভূখণ্ড ছাড়াও হংকং, ও ম্যাকাওর ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এছাড়া ওই সময় সরকার সার্জিক্যাল মাস্ক রপ্তানি নিষিদ্ধ করে, যেন তাদের মজুদে সংকট দেখা না দেয়।

এছাড়া তাইওয়ান সরকার ন্যাশনাল হেল্থ ইনসুরেন্স এবং ইমিগ্রেশন ও কাস্টম বিভাগ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো সমন্বয় করে৷ এর মাধ্যমে তারা জনগণের ভ্রমণের তথ্য নিয়ে শুরুতেই সম্ভাব্য রোগীদের শনাক্ত করে ফেলে।তাইওয়ানে যারা ভ্রমণ করেছেন তাদের জন্যও একটি প্রোগ্রাম চালু করা হয়। সেখানে একটি ‘কিউআর কোড’  স্ক্যান করে ভ্রমণকারীরা তাদের ভ্রমণের ও অসুস্থতার লক্ষণ সম্পর্কে তথ্য দিতে পারে। তারপর ভ্রমণকারীদের কাছে তাদের স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা নিয়ে একটি ম্যাসেজ যায়। এভাবে কাস্টম কর্মকর্তারা নিম্ন ঝুঁকির ভ্রমণকারীদের ছেড়ে দিয়ে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকাদের পরীক্ষায় অধিক গুরুত্ব দিতে পেরেছেন।

ওয়াং বলেন, নতুন নতুন প্রযুক্তি যথাযথভাবে ব্যবহার করে তাইওয়ান সরকার অনেক কিছু করতে সক্ষম হয়েছে৷  এর মাধ্যমে তারা লোকজনের জরুরি প্রয়োজন বুঝে সে অনুযায়ী সেবা দিতে সক্ষম হয়েছে।জনগণ স্বেচ্ছায় সরকারের নির্দেশ অনুসরণ করাও এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করেন ওয়াং৷

তিনি বলেন, সার্স ভাইরাসের সময় তাইওয়ানের বেশিরভাগ মানুষকে তিক্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে৷ তাদের ওই স্মৃতি এখনো তাজা, যা তাদের করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করেছে।তিনি জানান, তাইওয়ানের জনগন ঐক্যবদ্ধ থেকে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সরকারের নেওয়া সব ব্যবস্থা নিষ্ঠার সঙ্গে মেনে চলেছে।

সূত্র : তাইওয়ান নিউজ, ডয়েচে ভেলে

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।