১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৪ঠা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

যশোরের ঝিকরগাছায় উপজেলায় কুল চাষে ভাগ্য বদলাতে চান সিরাজুম মনির

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ সাগর হোসেন,বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি ॥ যশোরের ঝিরগাছা উপজেলায় চলতি মৌসুমে কুল চাষে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। বিগত বছরে এই দুই উপজেলায় লক্ষ মাত্রার চেয়ে ৫৫ হেক্টর বেশি জমিতে কুল চাষ হয়েছে। দিনে দিনে কুল চাষের প্রতি মানুষ ঝুঁকে পড়ছে বলে উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়।
মিষ্টি সুস্বাদু ও লাভ জনক হওয়ায় এ চাষের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান, ঝিকরগাছা উপজেলার মৌসুমি চাষিরা। কুল চাষের তথ্য অনুসন্ধানে তেমনি ভাবে পরিচয় মেলে ঝিকরগাছা উপজেলার সৎ, নির্ভীক ও কঠোর পরিশ্রমি, সফল ব্যবসায়ী এবং একজন সফল চাষী সিরাজুম মনিরের সাথে। জীবনের কঠিন কষাঘাতে লেখাপড়ার দৌরর্তটা বেশি দুরে না গড়ালেও সংসারের হাল ধরতেই যৌবনের প্রতিটি মুহুর্ত্বে তিনি পার করেছেন কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে। সিরাজুম মনির পেশায় একজন মুদি ব্যবসায়ী।
তিনি জানান, প্রথম দিকে তেমন কোন সফলতা না পেলেও কোন রকম তিনি ভেঙ্গে পড়েননি। বরং কঠোর ধৈর্যের সাথে তিনি ফল চাষের উপর আরো সাহস এবং শক্তি সঞ্চয় করেছেন। বিগত ২০১৭-২০১৮ সালে ৪ বিঘা জমিতে কুল চাষ করে চরম ভাবে লোকসানের মধ্যে পড়েন। গাছ এবং ফলন ভালো না হওয়ার কারনে তাকে এই লোকসানে পড়তে হয়। তারপরও জীবনের মোড় ঘুরাতে মনের সাধ মেটাতে বর্তমান মৌসুমেও সিরাজুম মনির একইভাবে কুল চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে মরিয়া হয়ে পড়েছেন। সিরাজুম মনিরের দুই বোন এবং তিন ভাইয়ের বিশালাকার যৌথ পরিবারের সদস্য সে।
সে ঝিকরগাছা উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের মাওঃ রুহুল আমীনের ছেলে। সরেজমিনে সিরাজুম মনিরের কুল বাগান ঘুরে দেখা যায়, সারি সারি কুল গাছ গুলো প্রকৃতির আপন খেয়ালে মাথা উঁচু করে বেড়ে উঠেছে। প্রতিটি গাছে ফল ধরেছে আশানুরুপ হারে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবছর জীবনের ঘোর অন্ধকার কেটে আশার আলো ফুটবে বলে মনে করেন ফল চাষী সিরাজুম মনির।
জানতে চাইলে সিরাজুম মনির বলেন, এবছর কুল চাষে প্রায় ৫০ হাজার এবং বিগত বছরের গাছ এবং চিকিৎসা বাবদ ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়ে প্রায় ২ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। দুই বিঘা জমিতে কুলের গাছ ১৭০টি লাগিয়েছি ফলন ভালো এবং আবহাওয়া অনুকুৃলে থাকলে আশা করছি বিগত বছরের লোকশান কাটিয়ে লাভের মুখ দেখবো।
ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিপংকর দাস বলেন, এ উপজেলায় চলতি বছরে কুল চাষ হয়েছে ৫০ হেক্টর জমিতে যা বিগত বছরের চেয়ে ১০ হেক্টর বেশি যা বিগত বছরের চেয়ে ৫ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।