৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

মাধবপুর হাসপাতালে ৮ বছরেও চালু হয়নি অপারেশন কার্যক্রম

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সোনাই নিউজ:হবিগঞ্জের মাধবপুরে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের উদ্বোধনের প্রায় ৮ বছর পার হলেও চালু হয়নি অপারেশন কার্যক্রম। অপারেশন থিয়েটারের মূল্যবান যন্ত্রপাতি বছরের পর বছর বাক্সবন্দি অবস্থায় তালাবন্ধ কক্ষে পড়ে থাকলেও এনেসথিসিয়া ও সার্জারি জুনিয়র কনসালটেন্ট না থাকায় চালু করা যাচ্ছে না অপারেশন থিয়েটার (ওটি)। ফলে প্রতিনিয়ত গর্ভবতী মায়েদের সিজার সুবিধা সহ রোগীরা সার্জারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি উন্নীত করা হলেও চিকিৎসকসহ নানা সংকট থাকায় উন্নত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত উপজেলাবাসী।

উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা এএইচএএম ইশতিয়াক মামুন বলেন, অপারেশন থিয়েটারটি চালু করতে হলে এনেসথিসিয়া ও জুনিয়র কনসালটেন্ট প্রয়োজন। এ দুটি পদ শুন্য থাকায় ওটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর তৎকালীন স্বাস্থ্য মন্ত্রী আ.হ.ম রুহুল হক মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন। প্রায় ৭ বছরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন হলেও স্বাস্থ্য সেবার তেমন উন্নতি হয়নি এখনও। চিকিৎসক সংকট লেগে আছে শুরু থেকেই। হাসপাতালে ১০ জন অনুমোদিত জুনিয়র কনসালটেন্ট পদ থাকলেও অধিকাংশ পদই রয়েছে শূন্য।

বর্তমানে শিশু, দন্ত ও কার্ডিওলজি কনসালটেন্ট রয়েছে। তবে এরমধ্যে কার্ডিওলজি কনসালটেন্ট দিলীপ সরকারকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করায় সপ্তাহে ২ থেকে তিন দিনের বেশি তিনি সময় দিতে পারছেন না মাধবপুর হাসপাতালে।

হাসপাতালে অর্থপেটিক ইএনটি চর্ম ও যৌন, সার্জারি, গাইনী,এনেসথিশিয়া জুনিয়র কনসালটেন্ট পদ খালি রয়েছে বছরের পর বছর ধরে।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার সহ ১২ জন মেডিকেল অফিসার কর্মরত থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে রয়েছে ৬ জন। দীর্ঘদিন থেকে বিকল পড়ে আছে এক্সরে মেশিন, প্যাথলজি পরীক্ষাও হয় নামে মাত্র।

উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা এএইচএএম ইশতিয়াক মামুন বলেন, সীমাবদ্ধতার মধ্যেও রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। জনবল
সংকটের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশাকরি কিছুদিনের মধ্যেই এর সুফল পাওয়া যাবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।