করােনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশব্যাপি চলছ কঠাের লকডাউন। সরকার ঘােষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কঠোর ভুমিকায় রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মােড়ে মােড়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেকপাষ্ট। উপযুক্ত প্রমাণ বা জরুরি প্রয়ােজনে চলাচল করত হচ্ছে জনসাধারনকে।
তবে উপজেলা বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে মিলেছে ব্যতিক্রম চিত্র । বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। ক্রেতারা মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গা ঘেঁষা ঘেঁষি করে চলছ কেনাকাটা।
উপজেলা সদরসহ বাবু্খালী, নাগড়া, বিনোদপুর কাঁচা বাজার বেশ কিছু সময় ধরে অবস্থান করে দেখা গেছে, বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মুখে মাস্ক নেই। আবার কারাে কারাে মাস্ক পকেটে রয়েছে। এমনই একজন মাছ বিক্রেতা রমেশ মাঝির মুখে মাস্ক না দেখে জিজ্ঞাসা করতেই পকেটে থেকে মাস্ক বের করে মুখে দেয়।
এভাবেই ফল ব্যবসায়ী, সবজি বিক্রতা, পান বিক্রতা সহ বিভিন এলাকা থেকে বাজার করতে আসা অনেক ক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। আবার কারো থাকলে নাকের নিচে নামিয়ে রেখে গায়ে গাঁ ঘেঁষে বেঁচা কেনা করছে।
চৌদ্দ দিনব্যাপি কঠাের লকডাউন শুরু হয়েছে ২৩ জুলাই থেকে। ঈদের আগে চৌদ্দ দিন লকডাউন দেওয়া হলেও ঈদের কারণে এক সপ্তাহ কঠাের লকডাউন শিথিল করা হয়েছিল। পরে করােনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না আশায় চৌদ্দ দিনের কঠাের লকডাউন দিয়েছে সরকার। দিন যত যাচ্ছে উপজেলা সদরসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা ও সড়কে মানুষের চলাচল ততোই বাড়ছে। বিভিন ইউনিয়ন ঘুরে এমনই দূশ্য চােখে পড়েছে।
বাজার করতে আসা মতিয়ার নামের একজন দিনমুজুর বলেন, ‘করােনায় আমাগের কিছুই হবে নানে। আমরা মাঠে-ঘাটে কাজ করা মানুষ। আমাগের কি হবি।’
বাবুখালী বাজারের সবজি বিক্রেতা মিরাজ মোল্যা জানান, ‘স্বাস্থ্য বিধি মেনে কেউ দোকানে আসে না। বললেও তারা শুনতে রাজি না। কয়েকজন স্যার আসে শুধু মাস্ক পড়ে। এখন তাই কাউকে কিছু বলি না’
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানদ পাল জানান, বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন কঠাের অবস্থানে প্রশাসনের সাথে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার বাহিনী কাজ করছে। সাধারন মানুষের কাঁচা বাজারসহ নিত্যপ্রয়ােজনীয় দােকানপাট বিকাল তিনটা পর্যন্ত খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে আমরা এ বিষয় গুলো লক্ষ করে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছি।
Leave a Reply