২৮শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১২ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

মহম্মদপুরে কাঁচা বাজার গুলোতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

করােনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশব্যাপি চলছ কঠাের লকডাউন। সরকার ঘােষিত বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কঠোর ভুমিকায় রয়েছে উপজেলা প্রশাসন। মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার মােড়ে মােড়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেকপাষ্ট। উপযুক্ত প্রমাণ বা জরুরি প্রয়ােজনে চলাচল করত হচ্ছে জনসাধারনকে।
তবে উপজেলা বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে মিলেছে ব্যতিক্রম চিত্র । বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই। ক্রেতারা মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গা ঘেঁষা ঘেঁষি করে চলছ কেনাকাটা।
উপজেলা সদরসহ বাবু্খালী, নাগড়া, বিনোদপুর কাঁচা বাজার বেশ কিছু সময় ধরে অবস্থান করে দেখা গেছে, বিক্রেতা ও ক্রেতাদের মুখে মাস্ক নেই। আবার কারাে কারাে মাস্ক পকেটে রয়েছে। এমনই একজন মাছ বিক্রেতা রমেশ মাঝির মুখে মাস্ক না দেখে জিজ্ঞাসা করতেই পকেটে থেকে মাস্ক বের করে মুখে দেয়।
এভাবেই ফল ব্যবসায়ী, সবজি বিক্রতা, পান বিক্রতা সহ বিভিন এলাকা থেকে বাজার করতে আসা অনেক ক্রেতার মুখে মাস্ক নেই। আবার কারো থাকলে নাকের নিচে নামিয়ে রেখে গায়ে গাঁ ঘেঁষে বেঁচা কেনা করছে।

চৌদ্দ দিনব্যাপি কঠাের লকডাউন শুরু হয়েছে ২৩ জুলাই থেকে। ঈদের আগে চৌদ্দ দিন লকডাউন দেওয়া হলেও ঈদের কারণে এক সপ্তাহ কঠাের লকডাউন শিথিল করা হয়েছিল। পরে করােনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না আশায় চৌদ্দ দিনের কঠাের লকডাউন দিয়েছে সরকার। দিন যত যাচ্ছে উপজেলা সদরসহ ইউনিয়ন পর্যায়ের হাট-বাজার, পাড়া-মহল্লা ও সড়কে মানুষের চলাচল ততোই বাড়ছে। বিভিন ইউনিয়ন ঘুরে এমনই দূশ্য চােখে পড়েছে।

বাজার করতে আসা মতিয়ার নামের একজন দিনমুজুর বলেন, ‘করােনায় আমাগের কিছুই হবে নানে। আমরা মাঠে-ঘাটে কাজ করা মানুষ। আমাগের কি হবি।’

বাবুখালী বাজারের সবজি বিক্রেতা মিরাজ মোল্যা জানান, ‘স্বাস্থ্য বিধি মেনে কেউ দোকানে আসে না। বললেও তারা শুনতে রাজি না। কয়েকজন স্যার আসে শুধু মাস্ক পড়ে। এখন তাই কাউকে কিছু বলি না’

এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানদ পাল জানান, বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন কঠাের অবস্থানে প্রশাসনের সাথে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার বাহিনী কাজ করছে। সাধারন মানুষের কাঁচা বাজারসহ নিত্যপ্রয়ােজনীয় দােকানপাট বিকাল তিনটা পর্যন্ত খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে আমরা এ বিষয় গুলো লক্ষ করে অভিযান পরিচালনা শুরু করেছি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।