মোঃ সাগর হোসেন,বেনাপোল(যশোর) প্রতিনিধিঃসুকৌশলে বেনাপোল চেকপোষ্টে আন্তর্জাতিক প্যচেঞ্জার টার্মিনাল নাম দিয়ে স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ ভারত গমনকারী পাসপোর্ট যাত্রীদের নিকট থেকে ৪১.৭৫ টাকা কর আদায় করছে। এখানে ভারত গমনাগমন পাসপোর্টযাত্রীদের কোন সুযোগ সুবিধা ছাড়া নামে মাত্র একটি বিল্ডিং তৈরী করে বর্গীদের মত টাকা আদায় করায় অনেক যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। সরকার ঘোষিত রাজস্ব আদায় ৫০০ শত টাকা। সরকার প্রতিবন্ধী, ক্যান্সার রোগি ও ৫ বছর পর্যন্ত শিশুদের নিকট থেকে ভ্রমন কর গ্রহন না করলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ জোর করে দির্ঘ সময় দাঁড় করিয়ে রেখে বন্দরের ভিতর প্রবেশ করতে বাধা সুষ্টি করে। অগত্য তারা বাধ্য হয়ে বন্দরের লাঠিয়াল আনসার বাহিনীর তাড়া খেয়ে আবার লাইনে দাঁড়িয়ে পোর্ট ট্র্যক্স কাটতে বাধ্য করে।
বেনাপোল চেকপোষ্ট এর বিশ্ষ্টি ব্যবসায়ি হাফিজুর রহমান বলেন, বেনাপোল চেকপোষ্টের সাথে জড়িয়ে আছে দেশের ও এই জনপদের সম্মান। এ পথে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ও বিদেশী পাসপোর্টযাত্রীদের নিকট থেকে কোন প্রকার সুযোগ সুবিধা ছাড়া জোর করে আদায় করছে পোর্ট ট্যাক্স নামে একটি অবৈধ অর্থ। তিনি আরো বলেন, পাসপোর্টযাত্রীদের জন্য নেই কোন ট্রলির ব্যবস্থা, নেই পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কোন টয়লেট সুবিধা, নেই পর্যপ্ত বসার স্থান।
নড়াইল থেকে আসা পাসপোর্ট যাত্রী শামিমুর রহমান বলেন, বেনাপোলের ওপারে ভারতের পেট্রাপোলে কাস্টমস, পোর্ট এর কোন ভ্রমন কর নেই । অথচ বাংলাদেশে সরকারী ভ্রমণ করের পরে আরো একধাপ বেনাপোল বন্দর কর্তপক্ষ কাস্টমসের প্রধান গেট সিলগালা করে যাত্রীদের নিকট থেকে আদায় করছে অবৈধ অর্থ। যা স্বাধীন দেশের জন্য অত্যান্ত বেমানান।
ঢাকার আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা বুঝতে পারছি না , যে বেনাপোল বন্দরের এ টার্মিনালে যাত্রী সাধারনের কি উপকারে আসে। এটা নিয়ন্ত্রন করার কথা কাস্টমস কর্তৃপক্ষর। এবং সরকারী ভ্রমন করের ৫০০ টাকার জন্য এখানে ট্রলি ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক টয়লেটের ব্যবস্থা রাখা।
এ ব্যাপারে বেনাপোল স্থল বন্দরের পরিচালক প্রদোষ কান্তি দাসের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি আসার আগে থেকে এটা চালু হয়েছে। আর প্রতিবন্ধী, ক্যান্সার রোগি ও ৫ বছরের নীচে শিশুদের নিকট থেকে কোন কর নেওয়া যাবে না এরকম কোন নির্দেশনা আমাদের নিকট নেই।
বেনাপোল চেকপোষ্টের একাধিক সুত্র দাবি করেছে স্থল বন্দর বেনাপোল যাত্রী টার্মিনাল এর নামে যে অর্থ আদায় করছে তা অবৈধ। কাস্টমস আগে যে পথে যাত্রীদের যাতায়াত করাত সেই পথে যাত্রীদের যাতায়াত ভালো ছিল। বরং বেনাপোল স্থল বন্দরের দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের হাতে অনেক পাসপোর্ট যাত্রী নাজেহাল হচ্ছে।
যাত্রী টার্মিনালের ভিতর যে, স্কানিং মেশিন বসানো হয়েছে সেখানে ব্যাগ দেওয়ার আগে আনছার সদস্যরা পাসপোর্টযাত্রীদের পাসপোর্ট দেখার নাম করে তাদের কাছে অর্থ আদায় করছে। পাসপোর্ট দেখার দায়িত্ব নিয়ম অনুযায়ী কাস্টমস ও ইমিগ্রেশন পুলিশের । কিন্ত এখানে দেখা যাচ্ছে বাশের চেয়ে কঞ্চি মোটা। স্কানিং মেশিনের পর ইমিগ্রেশন সিল মেরে আবার ভারতের পথে যেতে গেলে সেখানে আর একটি চেকপোষ্টে কাস্টমস সিপাইদের পাশাপাশি আনসার সদস্যরা পাসপোর্ট হাতে নিয়ে নানাবিধ প্রশ্ন করছে যাত্রীদের। আর বড় বড় ব্যাগ থাকলে এটা নিতে পারবেন না। ব্যাগের ভিতর কি আছে নানা প্রশ্ন শেষে বলে কিছু চা পানি খেতে দিয়ে যান।
সচেতন মহল এটা দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি করেছে।
Leave a Reply