৪ঠা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

ফুলপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পের নতুন ঠিকানায়   জাতীয় শোক দিবস, বঙ্গবন্ধুর জন্য কাঁদলেন তাঁরাও।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ আলমগীর ইসলাম ফুলপুর (ময়মনসিংহ) ।

 

ফুলপুর পৌর শহর থেকে ৩কি.মি. দুরে সদর ইউনিয়নের আশ্রয়ণ প্রকল্পে এক সাথে ৪৪টি পরিবার। একসময় কিছুই ছিল না মাথা গোঁজার ঠাঁই। বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী দিলেন জমিসহ ঘর। ১৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর বাবা-মা সহ পরিবার ও নিকটাত্মীয়দের কে হত্যা করা হয়। মর্মান্তিক এ খবর টেলিভিশনে দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি ঘর পাওয়া এসব অসহায় পরিবারের লোকজন। তাদের কথা ‘যাঁর জন্য ভাগ্য খুইল্যা দিছে‘ প্রধানমন্ত্রী ঘর দিলেন ‘ প্রধানমন্ত্রীর বাবা জাতির পিতার জন্য জাতীয় শোক দিবসের আয়োজনে শরীক হলেন । অন্যরকম এ শোক দিবস অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন ফুলপুর উপজেলা প্রশাসন ,ইউপি চেয়ারম্যানসহ অনেকেই। এসব উপকারভোগীদের এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার( ইউএনও) শীতেষ চন্দ্র সরকার সহ সকলেই। নগুয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের জাতীয় শোক দিবসটি অন্যরকম বলে মন্তব্য করেন। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় মসজিদের ইমাম সহ আশ্রয়ণের নিজ ঘরের সামনেই বসা। কোরআন খতমসহ দোয়া মাহফিলের আয়োজন। অপর দিকে অরুন চন্দ্র বিশ্বাস নামের একজন উপকারভোগী বড় পর্দায় বঙ্গবন্ধুর জন্য খ্যাতিমান শিল্পীদের বিভিন্ন গান ,যদি রাত পোহালে শোনা যেতো ,বঙ্গবন্ধু মরে নাই- শোন একটি মুজিবুরের থেকেসহ বিভিন্ন গান। ফশর আলী (৭৫) , নূরজাহান,রেনু রানী, মর্জিনা খাতুন সহ এসব ঘরের বাসিন্ধারা জানান, প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য ঘর উপহার দিলেন সারাজীবন তাঁর পরিবারের জন্য দোয়া করবো । এ সময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম শুরুতেই বক্তব্য রাখেন। ফুলপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার ববি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সরল ভাষায় তাঁদের সামনে এ মহান নেতার জীবন সমন্ধে তুলে ধরেন। আশ্রয়ণ পরিবারের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ফুলপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শীতেষ চন্দ্র সরকার ১৫ আগস্টের ভয়াল স্মৃতির কথা তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা গড়ার। এ দেশে গৃহহীনদের জন্য তিনিই প্রথম কাজ করেন।জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শকে নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশ পরিচালনা করছেন। এ সময় উপস্থিত সবাই হতবাগ হয়ে যান। অনেকের চোখে পানি নিয়ে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অংশ গ্রহন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শুভসংঘের উপদেষ্টা কৃষিবিদ কামরুল হাসান কামু ,উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী দারুস সালাম, সিনিয়র সাংবাদিক বিল্লাল হোসাইন, মোস্তফা খান প্রমুখ।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।