২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শুক্রবার

প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করছে বিএনপি।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা ৫/১২/২০১৮

একক প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করছে বিএনপি।২০ দলীয় জোটের শরিকদের সাথে আসন বণ্টনের সমঝোতা হয়ে যেতে পারে আজই। ঐক্যফ্রন্টভুক্ত দলগুলোর সাথে কয়েক দিন ধরেই অনানুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা চলছে। গণফোরাম বাদে অন্য দলগুলোর সাথে এ আলোচনা প্রায় শেষের পথে। নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্ত বিএনপির নেতারা বলেছেন, ৮ ডিসেম্বরের মধ্যেই ধানের শীষের একক প্রার্থী চূড়ান্ত হয়ে যাবে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দল এই দুই জোটেই প্রধান শরিক হিসেবে আছে বিএনপি। দুই পকেই সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে দলটি। সবার প্রতীক হবে ধানের শীষ। এ েেত্র আসন বণ্টনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির এখনও চূড়ান্ত সমাধান হয়নি। ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাথে আসন বণ্টনের আলোচনা অনেকটা শেষ হলেও বাকি শরিকদের সাথে আলোচনা এখনো শেষ হয়নি। জানা গেছে, আজ জোটের শরিকদের মধ্যে আসনের দাবিদার বেশ কয়েকটি দলের সাথে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নজরুল ইসলাম খান বৈঠক করবেন। সে ক্ষেত্রে আজই জোটের আসন বণ্টনের সুরাহা হয়ে যেতে পারে।
আসন বণ্টন নিয়ে থেমে থেমে আলোচনা চলছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে। প্রত্যেক শরিক দলের দু-তিনজন নেতার সাথে আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা চলছে। আরও দু-তিন দিন এই আলোচনা চলবে। জানা গেছে, বিএনপি ঐক্যফ্রন্টের দলগুলোকে কেবল বেশি আসন পেতে আলোচনা নয়, জনপ্রিয় এবং বিজয়ী হতে সক্ষম এমন প্রার্থীদের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত মনোযোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দল গণফোরামকে ঠিক কতটি আসন দেয়া হবে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এই সংখ্যা ১০-এর অধিক হবে না বলে বিএনপি সূত্রে জানা গেছে। তবে গণফোরাম আরো অধিক সংখ্যক আসনে তাদের প্রার্থী দিতে চায়।
ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘আমাদের সাথে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে।’ নাগরিক ঐক্যের একটি সূত্র বলছে, অন্তত ৪-৫টি আসনে জোটগত মনোনয়ন চায় সংগঠনটি। আসন বণ্টন নিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এবং জেএসডির সাথেও একাধিক বৈঠক করেছে বিএনপি।
২০ দলীয় জোটের শরিক খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, আমাদের সাথে আজ বুধবার বসার কথা রয়েছে বিএনপির। আমরা ৫টি আসন চেয়েছি। এটা ধরে রাখতে চাই। জোটের শরিক এলডিপি, জাগপার সাথেও আজ বৈঠক করবে বিএনপি। এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেছেন, আমাদের সাথে ৪টি আসনে ইতোমধ্যে সমঝোতা হয়ে আছে। এর বাইরে আরও কয়েকটি আসন নিয়ে আজ বিএনপির সাথে আমাদের বৈঠক আছে।
জানা গেছে, বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যরা গত দু’দিন রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে দেড় শতাধিক আসনে একক প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেছে। দলীয়ভাবে এই তালিকা যেকোনো সময় ঘোষণা করা হতে পারে। তবে প্রার্থীকে ৮ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ধানের শীষ প্রতীকসহ চিঠি দেয়া হবে। দল, জোট ও ফ্রন্টের একটি তালিকা নির্বাচন কমিশনেও জমা দেয়া হবে। জানা গেছে, বিএনপির সিনিয়র নেতারা ছয়টি শূন্য আসনে সরকারের বাইরে অন্য কোনো দলের প্রার্থীকে সমর্থন দেয়া যায় কি না তা নিয়েও আলোচনা করেছেন। স্বতন্ত্র কোনো প্রার্থীকে দলীয় চিঠি দিয়ে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেয়া যায় কি না তা নিয়েও বিস্তারিত কথা হয়।
মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে ৬টি আসনে বিএনপির প্রার্থী শূন্য হয়ে গেছে। এমনকি বিএনপি জোটের কোনো প্রার্থীও নেই এই ছয়টি আসনে। আসনগুলো হলো বগুড়া-৭, ঢাকা-১, মানিকগঞ্জ-২, জামালপুর-৪, রংপুর-৫ ও শরীয়তপুর-১ আসন।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, সরকার চায় বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াক। কিন্তু আমরা শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আন্দোলনের অংশ হিসেবেই শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকতে চাই। সে জন্যই আমরা দলগতভাবে নির্বাচনের প্রতিটি প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছি।
দুই-এক দিনের মধ্যে আসন বণ্টনের ফয়সালা হবে : ফখরুল
দুই-এক দিনের মধ্যে আসন বণ্টনের ফয়সালা চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত রাতে গুলশানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এই কথা জানান। তিনি বলেন, শত বাধা, নানা প্রতিকূলতা, গ্রেফতার-মামলার পরেও আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি বলেন, আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা চলছে। দুই-এক দিনের মধ্যেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের মধ্যে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার ল্েয একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। সব রাজবন্দীর মুক্তি চাই। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চাই। দেশের মানুষ বার বার সংগ্রাম করে, লড়াই করে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। এবারো তারা ভোটের অধিকার প্রয়োগ করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।
নির্বাচন কমিশনের নিরপেতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। নির্বাচন কমিশন এমন একটা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে যার প্রতি মানুষের ন্যূনতম আস্থাও হারিয়ে ফেলছে। তারা শুধু সরকারের যে ইচ্ছা, সরকারের যে নকশা তা বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেসব কাজ করছে সেসব বিষয়ে তারা নির্বিকার।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি মনোনয়ন বাণিজ্যের রেকর্ড করেছেÑ এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, উনার বিষয়ে আমি কথা বলতে চাই না। তিনি তো অনেক কথাই বলছেন, বলে যাচ্ছেন। মনোনয়ন বাণিজ্যে আওয়ামী লীগেরই অভিজ্ঞতা ভালো। তাদের মহাজোটের শরিক একটি দলের নেতার চাকরিও (পদ) গেছে এই বাণিজ্যের অভিযোগে। ফলে এ নিয়ে আমি কোনো কথা বলতে চাই না।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।

মুক্তাগাছা প্রতিনিধি:

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুরের দায়ের কোপে ভাতিজা বউ শিউলী আক্তার খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়নের গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি চালক শরিফুল ইসলামের স্ত্রী শিউলী আক্তার (৩০) স্বপরিবারে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় তার চাচা শ্বশুর মৃত নেওয়াজ আলীর পুত্র সোলায়মান মিয়া তাদেরকে ডাকা ডাকি করে ঘর থেকে বের হতে বলে। দরজা খুলে শরিফুল ও তার স্ত্রী শিউলী ঘর থেকে বের হলে সোলায়মান তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে। এক পর্যায়ে সোলায়মানের হাতে থাকা দা দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে শুরু করে। সোলায়মান দা’ দিয়ে শিউলীর ঘাড়ে কোপ দিলে শিউলী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে সোলায়মান দা নিয়ে শরিফুলকে ধাওয়া দিলে শরিফ প্রাণ বাঁচাতে পুকুরে লাফ দিয়ে প্রণে বাঁচায়। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে।
নিহত শিউলী একই উপজেলার মুজাটি গ্রামের মৃত হামেদ আলীর মেয়ে। গত ১২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। শিউলর ৫ মাসের মেয়ে শিশুসহ ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার বিকেলে শিউলীর ৬ বছরের মেয়ে লামিয়া এর সাথে সোলায়মানের পুত্রের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার জেরেই সকালে নিহতের বাড়িতে এসে তাদের ঘুম থেকে ডেকে এ খুনের ঘটনা ঘটান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, শনিবার সকালে উপজেলার গোয়ারী উত্তর গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠায়। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুড়ের দায়ের কোপে ৩ সন্তানের জননী খুন।