১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

নাসিরনগর উপজেলা নিবার্চন: চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ,ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়েজ আহমেদ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি।। চতুর্থ দফায় নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ নিবার্চনে ভোট কেন্দ্রগুলোতে উপস্থিতির হার কম থাকলেও বড় ধরনে কোন বিশৃংখলা ছাড়াই রবিবার শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে।বেসরকারী ফলাফলে ৭৬টি কেন্দ্রের ভোট সংখ্যায় আওয়ামীলীগ মনোনীত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ ৫৯ হাজার ৪৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার আনারস প্রতীক নিয়ে ১৪ হাজার ৫৭৪ ভোট পেয়েছে।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সৈয়দ ফয়েজ আহমেদ চিশতি চশমা প্রতিক নিয়ে ৩০ হাজার ১০৭ ভোটে নিবার্চিত হন তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী স্বরজিদ দাস টিউওবয়েল প্রতিকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৩৬৩ ভোট। এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রভাষক রুবিনা আক্তার কলস প্রতিক নিয়ে ৫৪ হাজার ৭৫৬ ভোট পেয়ে নিবার্চিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সৈয়দা হামিদা লতিফ পান্না প্রজাপতি প্রতিকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ২৯৮ ভোট।
ভোট কেন্দ্র গুলোতে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি র‌্যাব,বিজিবি,আর্মড ব্যাটালিয়ান পুলিশ নিয়ে ৫ স্তরের নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে ৭৬টি কেন্দ্রে ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ৭৬টি কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ লক্ষ ১৪ হাজার ৫৭ জন। পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ১০ হাজার ৪‘শ ৯৯ জন ও মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৩ হাজার ৮‘শ ৫৮ জন।
এদিকে আওয়ামীলীগের বিজয়ী প্রার্থী ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা হিসেবে পরিচিত।পিতা মরহুম শেখ মহিউদ্দিন আহম্মদ।১৯৫৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা সদরের নাছিরপুর গ্রামে জম্মগ্রহন করেন।তিনি ১৯৭২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের ছাত্র রাজনীতি থেকেই ক্যারিয়ার শুরু করেন।বর্তমানে ২৭ বছর ধরে সততার সাথে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হিসেবে দায়িত্বপালনের পাশাপাশি এলাকার সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে ভুমিকা রেখেছেন।দলের দুঃসময়ে শক্তহাতে দলকে আটকে রেখে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বির্নিমাণে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন। তার কাছে সব দলের লোক সমান। তিনি সৎ ও নিষ্ঠাবান ব্যক্তি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।