১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বুধবার

ধর্ষনের শিকার কিশোরী, এখন ৬ মাসের গর্ভবতী। 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধি।

রাজশাহীর বাঘায় এক কিশোরীর বিয়ের ১৫ দিনের মধ্যে ৬ মাসের গর্ভবতী হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। থানায় শনিবার (৩১ জুলাই) ভুক্তভূগীর পিতা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৬ মাস পূর্বে এই কিশোরী কে উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের একটি গ্রামের মাঠে ধর্ষন করা হয়েছে।

 

ভিকটিম(১৬) সাংবাদিকদের জানায়, আমার বাবা ভ্যান চালক, আমরা গরীব অসহায়,তাই বাড়ির প্বার্শে মাঠে নিয়মিত ছাগল চড়াতে ও খড়ি কুড়াতে যায়। ঘটনার ঐদিন আমি মাঠে খড়ি কুড়াতে গিয়েছিলাম তখন সোহেল আমাকে একা পেয়ে জোরপূর্বক একটি গ্যামার ক্ষেতে মধ্যে নিয়ে গিয়ে ধর্ষন করে। সোহেল একই গ্রামের মকবুলের ছেলে। আমি কান্না করলে সে আমাকে ভয় ভীতি দেখায় এবং এই বিষয়ে কাউকে কিছু বললে মারধরের হুমকি দেয়। তাই আমি ভয়ে আর কাউকে কিছু বলিনি।

 

মেয়েটির মা জানায়, গত ১৪ ই জুলাই আমার মেয়ের অন্য এক ছেলের সাথে বিয়ে দিয়েছিলাম। জামাই আমাদের জানায় মেয়ে অসুস্থ ডাক্তার দেখান। পরে বাঘাতে এক ক্লিনিকে পরীক্ষা করে দেখা যায় রিপোর্টে আমার মেয়ে ৬ মাস ৯ দিনের গর্ভবতী। আমার মাথা ঠিক নেই এ কথা জেনে।

 

ভিকটিম এর বাবা বলেন, গরীব মানুষ বলে কারও কাছে বিচার পাইনি। ওরা আমাদের পরিবারকে সব সময় মারধরের হুমকি দিচ্ছে ,বাড়ি থেকে বাহির হতে পারছিনা। স্থানীয় মেম্বার এর কাছে বার বার গিয়েও কোন বিচার পাইনি, চেয়ারম্যান ও করোনার জন্য বিচার শালিসে আসতে পারবে না বলেছে। তাহলে কি আমরা কোন বিচার পাব না ? বাধ্য হয়ে থানায় মামলা করি।

 

এবিষয়ে ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মতিন বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে আমি জানি। ঘটনাটি জটিল হওয়ায় ভুক্তভোগীদের থানায় যেতে বলেছি।

 

মনিগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনা সম্পর্কে ভুক্তভোগী মেয়ের মায়ের মুখে শুনেছি। একে-তো করোনা তারওপর বিষয়টি জটিল হওয়ায় আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

 

এ ঘটনায় মামলার আসামী সোহেলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার পরিবার জানিয়েছেন তাদের ছেলে এমন জঘন্য কাজ করতেই পারে না।

 

বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে একটি ধর্ষন মামলা হয়েছে। অভিযান চলছে আসামীকে আটকের জন্য এবং ঐ ভিকটিম কে রাজশাহীতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।