৪ঠা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

ছাতকে যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও হামলার ঘটনায় দায়েরী মামলার বাদীকে প্রাণনাশের হুমকি।। 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ছাতক প্রতিনিধিঃ

ছাতকে নোয়ারাই ইউনিয়নের বেতুরা-আছদনগর গ্রামে এক যুবতীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও তার পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করায় একই গ্রামের হামলাকারী আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুল মতলিব, রাজাকার আকবর আলী, রাজাকার আছদ্দর আলী, রাজাকার পুত্র মাসুক মিয়া সহ লোকজন মামলার বাদী মনোয়ারা বেগমকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। মামলা তুলে না নিলে তারা মনোয়ারা বেগমকে হত্যা করে লাশ সুরমা নদীতে ভাসিয়ে দিবে বলে হুমকি দিয়েছে। গত ৮মে শনিবার রাতে বেতুরা-আছদনগর গ্রামের মনোয়ারা বেগমের বসতঘর পুরুষশুন্য থাকায় একই গ্রামের জুনায়েদ আহমদ রুবেল বসত ঘরে ঢুকে তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় মনোয়ারা বেগম সহ আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে তাকে আটক করে। বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনার পর জুনায়েদ আহমদ রুবেলের ভাই সহ স্বজনরা মনোয়ারা বেগমের বসতঘরে হামলা চালিয়ে জুনায়েদ আহমদ রুবেলকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ছাতক থানায় মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে রুবেল সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা (নং-২৭,তাং-২৪মে/২১) দায়ের করেন। ওই মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী আব্দুর রহিমকে ৪ জুলাই পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে। আব্দুর রহিম গ্রামের মৃত মনোহর আলীর পুত্র। ওই মামলার প্রধান আসামী জুনায়েদ আহমদ রুবেলকে পুলিশ এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি। জুনায়েদ আহমদ রুবেল, নাজমুল হোসেন, নজরুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে পলাতক রয়েছে। এদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ বিভাগের মামলা সহ আরো একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে। মামলার বাদী ভিকটিম শ্যামা আক্তারের মা মনোয়ারা বেগম জানান, তার মেয়ের উপর নির্যাতন করা হয়েছে। ঘর-বাড়িতে হামলা করেছে আসামীরা। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করেছেন তিনি। মামলার প্রধান আসামী এখনো গ্রেফতার হয়নি। আসামী আব্দুর রহিম গ্রেফতারের পর থেকেই আব্দুর রহিমের পরিবার ও অনুসারীরা তাকে নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে তারা তাকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছে। তার ও তার মেয়ের মানসম্মান নষ্ট করার জন্য আব্দুল মতলিব ও আকবর আলী রাজাকারের নেতৃত্বে সংবাদ সম্মেলনের নামে এক প্রতারককে দিয়ে ফেইসবুকে লাইভে এসে ভিডিও পোস্ট করেছে। একাধিক মেয়ে কেলেংকারীর ঘটনায় জড়িত আব্দুর রহিম ও আব্দুল মতলিবের পরিবার। নিজের দোষ ঢাকতে গিয়ে তারা অপরের নিন্দা করছে। কয়দিন পরপর ভূইফোড় সাংবাদিক নামধারী একজনকে এনে ফেইসবুক লাইভে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এতে গ্রামবাসীর মানসম্মান ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। ছাতক থানার এস আই আতিকুর রহমান খন্দকার জানান, এ মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।##

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।