৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বুধবার

গজারিয়ায় ফুটওভার ব্রিজে আলোর ব্যবস্থা করার দাবী জনগনের।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ওসমান গনি গজারিয়া প্রতিনিধিঃ

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে জামালদী বাসস্টান্ড ও বাউশিয়া পাখির মোড় এ দুটি (২) ফুটওভার ব্রীজে আলোর ব্যবস্থা করার দাবী জনগনের এ ফুটওবার ব্রিজ জনসাধারণ এর জন্য চলাচলের উনমুক্ত করার পর থেকেই এ দাবী করে আসছিল জনসাধারণ । কারন রাত যতগভির হয় এ ব্রিজ যেনো তার নিরাপত্তা হারাতে থাকে, এ ব্রিজ গুলো মেইন স্ট্যান্ড থেকে ৩০০-৪০০ ফুট দুরে হওয়ায় রাত গভির হওয়ার সাথে সাথে শিনতাইকারীর কবলে পরার একটা বিরাট যুকি থাকে জনসাধারণের বিশেষ করে মেয়েদের।

 

গজারিয়ায় মহাসড়কে বাস স্ট্যান্ড গুলোর মধ্যে জামালদী বাস স্ট্যান্ড ও পাখির মোড় মেইন বাস স্ট্যান্ড গুলোর মধ্যে অন্যতম। জামালদী বাস স্ট্যান্ড দিয়ে ২৪ ঘন্টা মানুষ এর যাতায়াত চলমান থাকে ফলে এ মহাসড়ক পার হওয়ায় জন্য এ ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার করতে হয় প্রতিদিন এই বাসস্ট্যান্ড দিয়ে হোসেন্দী, জামালদী, টেংগারচর, গজারিয়া সহ বিভিন্ন গ্রামের মানুষ তাদের কর্ম স্থান যায় আবার এই পথে বাসস্থান এ ফিরে,এতে রাতে অনেক টাই যুকি নিয়ে ওভার ব্রীজটি পার হতে হয় একে তো নেই কোন আলোর ব্যবস্থা নাই তার উপর ব্রিজ এর ওপর সিন্তাই হওয়ার ভয়, বিশেষ করে নারীদের।

 

এ বিষয়ে সারজমিনে গিয়ে ব্রিজটি ব্যবহার করা মোঃ সালাউদ্দিন মিয়া নামে এক জনের সাথে কথা বলেলে তিনি জানান এ ব্রিজ দু’টি উপর দিয়ে রাতে চলাচল করতে সাধারণ জনগণকে পরতে হয় চরম ভোগান্থিতে রাতে এ পথ দিয়ে নারীযাত্রী সহ বিভিন্ন বয়েসের শিশু ও বৃদ্ধ বয়েসের নারী পুরুষ এ ফুটওবার ব্রিজ ব্যবহার করে। তাই কতৃপক্ষকে এই ফুটওভার ব্রিজে আলোর ব্যবস্থা বা এলইডি লাইট এর ব্যবস্থা করার জোরদাবি জানাছি।

 

৬১ বছরের নাজমা বেগম জানান আমার মেয়ের জমাইর বাসা ভবেরচর হওয়ায় আমাকে কিছু দিন পর পর এই পথ দিয়ে যাইতে হয় মাঝে মাঝে বাসায় ফিরতে অনেক রাত হয়ে যায়, আর এই ব্রিজ দিয়ে রাস্থা পর হতে হয়,এক দিন বাসায় আসার সময় সিনতাই কারীদের কবলে পরতে পরতে বেঁচে গেছে, তাই যারা এই ব্রীজ টা বানিয়েছে তাদের কাছে আবেদন করতে চাই যাতে এখানে আলোর ব্যবস্থা করে দেয়।

 

আরেক পথযাত্রাী জনাব বিল্লল হোসেন বলেন যে দেখুন আমি ঢাকাতে চাকরী করি আমি জামালদী বাস স্ট্যান্ড দিয়ে প্রতি বৃঃপ্রতিবার ঢাকা থেকে বাসায় আসি তো আামর অফিস এর কাজ শেষ করতে করতে মাঝে মাঝে অনেক রাত হয়ে পরে ফলে আমাকে রাতেই বাসায় ফিরতে হয়। আমি যখন রাতে এই মহাসড়ক ফুটওভার ব্রিজ এর মাধ্যমে পার হই, তখন অন্ধ কারের জন্য এ ব্রিজটির ওপর ওঠা কষ্ট হয় তার পর আবার ব্রীজটি নিরব থাকায় সিনতাই কারীদের কবলে পরারও একটা সম্ভবনা থাকে সাধারণের মানুষের তার পর বিভিন্ন বকাটে ছেলেদের মাধ্যমে মেয়েরা ইপটিজিং এর শিকারও হতে পারে তাই আমি প্রশাসনের কাছে দাবী জানাছি যত দুরত্ব সম্ভব এই ব্রীজ দু’টি ওপর আলোর ব্যবস্থা করর।

 

এ বিষয়ে ভবেরচর হাইওয়ে থানার আফিসার ইন্সর্চাজ জনাব কামাল উদ্দিন, জানান আমরা মহাসড়কে যানবাহন এর নিয়ন্ত্রণ কাছে ব্যস্ত থাকি আবার ব্রীজটি অন্ধকার থাকায় ব্রিজটির ওপর কি হচ্ছে কে যাচ্ছে কে আচ্ছে তা ফাইনডআউট কারা কঠিন হয়ে পরে। আমরা যাতে করে জনগণকে আরো ভালো সেবা দিতে পারি কতৃপক্ষ যেনো এই বিষয় গুলো মাথায় রেখে খুব দ্রুত এই ব্রীজ দু’টি ওপর আলোর ব্যবস্থা করে দেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।