৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

খুলনায় মন্দির ও বাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর পরিদর্শন ও চেক বিতরন।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

খুলনা প্রতিনিধি।

 

খুলনা জেলার রূপসা উপজেলায় শিয়ালী গ্রামে গত ৭ আগষ্ট সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বাড়িঘর, দোকানপাট ভাংচুর ঘটনায় আজ ১৯ আগষ্ট শিয়ালী গ্রাম পরিদর্শন করেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। তিনি সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় উদ্যেশে বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন এদেশ স্বাধীন করেন আপনাদের আমাদের সকলের রক্তের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন করে স্বাধীকার আদায় করেছিলেন। আজ বঙ্গ বন্ধুর স্বাধীন দেশে যদি কোন বেক্তি নির্যাতিত হন সেটা অনেক দুঃখ জনক, কষ্টের এবং লজ্জার বিষয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা যিনি আজ দেশ পরিচালনা করছেন মানবতার মা আপনাদের মা, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার উনি সকল সময় আপনাদের কথা চিন্তা করে। আপনাদের কথা চিন্তা করেই আমাকে আপনাদের কাছে পাঠিয়েছেন।

আজ আপনাদের এলাকাতে কিছু দুস্কৃতকারি সন্ত্রাসী জঙ্গী অপরাধকারি মন্দির বাড়ী ঘর ভেঙ্গেছে তারা যে দলের হোক না কেন? তাদের কে আমরা দল হিসাবে চিহ্নিত করবো না। তাদের কে আমরা চিহ্নিত করবো দুস্কৃতিকারি অপরাধী হিসাবে। এই সকল লোকদের জন্য সরকারের সুনিদৃষ্ট চিন্তা তাদের কে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যাবস্থা করা। ইতি মধ্যে এদের কে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ধরা ও পড়েছে এই বিষয়ে আপনারা অবগত আছেন। এদের শাস্তির আওতায় আনতে জেলা প্রশাসন , পুলিশ বাহিনী , র‍্যাব নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এই জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তাদের কে ধন্যবাদ জানাই। আমরা প্রশাসন কে নির্দেশ দিয়েছি আপনারা লক্ষ রাখবেন অন্যায় ভাবে যেন কেহ হয়রানির স্বীকার না হয়। আমরা চাই প্রকৃত দোষী বেক্তি সনাক্ত করে তাদের কে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করতে।

পরিদর্শন শেষে ক্ষতি গ্রস্থদের নিয়ে আলোচনা সভা ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক পরিবার কে নগদ দশ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়। আলোচনা সভা ও চেক প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন

বাংলাদেশ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্ট এর সিনিয়র সহ-সভাপতি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী বাবু নারায়ণ চন্দ্র চন্দ (এমপি), সাংসদ মনোরঞ্জন শীল গোপাল, সাংসদ আব্দুস সালাম মুর্শিদী, সাংসদ আক্তারুজ্জামান বাবু, বাংলাদেশ হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের সহসভাপতি সুব্রত পাল, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট সুজিত অধিকারী,যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক এডভোকেট ফরিদ আহমেদ,রূপসা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাদশা, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, ডুমুরিয়া উপজেলা শাখার আহবায়ক বাবু নির্মল চন্দ্র বৈরাগী সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।