২২শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৭ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

এনামুল হক এনাম “লক্ষ্য যদি সৎ হয় সাফল্য অনিবার্য। —

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এনামুল হক এনাম “লক্ষ্য যদি সৎ হয় সাফল্য অনিবার্য।
—মোহাম্মদজসিম উদ্দি, পটিয়া থেকে ————+
——++++++++++++++++++++++++++++
লক্ষ্য , উদ্দেশ্য, যদি সৎ হয় সাফল্য অনিবার্য।
তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ আলহাজ্বএনামুল হক এনাম।
যাহা আমি অতি কাছের থেকে দেখেছি আলহাজ্ব এনামুল হক এনামকে। একজন সফল ব্যবসায়ী থেকে সফল ব্যবসায়ী সংগঠনের নির্বাচিত নেতা। সামাজিক সংগঠক, শিক্ষানুরাগী, সমাজ সেবক থেকে উঠে আসা এক জন সফল রাজনীতিবিদ। চট্টগ্রাম, উত্তর দক্ষিণ, মহানগর ছড়িয়ে, কেন্দ্র পর্যন্ত আলোচিত একটি নাম- এনামুল হক এনাম।
কলেজ জীবনে ছাত্র সংগঠনের সাথে, যুক্ত থাকিলেও ব্যবসায়িক ব্যস্ততায়, রাজনীতির থেকে দুরে থাকলেও স্থানীয় ও জাতীয়, নির্বাচনে, বি এন পি প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করতে স্থানীয় নেতা কর্মীদের আহবানে সাড়া দিত। ১৯৯৬, ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বি এন পি দলীয় প্রার্থী, গাজী মুহাম্মাদ শাহজাহান জুয়েলকে এলাকায় বিপুল ভোটের ব্যবধানে পাশ করিয়ে আনে। ২০০৮ সালের নিরবাচনে ও স্থানীয় সাংসদ প্রতিকুল পরিস্থিতির শিকার হয় সে নির্বাচনে ও এনাম সাহেবের এলাকায় বিপুল ভোটে জয় লাভ করে। অন্য এলাকায় পিছিয়ে থাকার কারণে ঐ নির্বাচনে গাজী শাহজান জুয়েল নির্বাচিত হতে পারে নাই।
এর মাত্র ২০ দিন পরে উপজেলা নির্বাচনে বি এন পির প্রার্থী ইদ্রিস মিয়ার নির্বাচনে পশ্চিম পটিয়ার দায়িত্ব নেন আলহাজ্ব এনামুল হক এনাম। আওয়ামী সরকারের অধীনে প্রথম নির্বাচন, সে নির্বাচনে পশ্চিম পটিয়ায় বিপুল ভোটে এগিয়ে থাকার কারনে, আলহাজ্জ্ব ইদ্রীস মিয়া, উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। এলাকার নেতা কর্মীদের চোখে এনাম ভাইয়ের সাংগঠনিক দক্ষতা প্রকাশ পায়। তার সুবাদে ২০০৯ সালে নবগঠিত দক্ষিণ জেলা বি এন পিতে সদস্য নির্বাচিত করে। ঐ নবগঠিত কমিটির প্রথম সভায় বাজিমাত। এলাকার বিপুল নেতা কর্মী সাথে নিয়ে প্রথম সভাতেই দৃষ্টি কাড়ে সকলের। এর থেকে নবদিগন্তের সুচনা। ২০১০ সালে কেন্দ্রীয় নেতা মরহুম হান্নান শাহ ও গয়েশ্বর রায়ের উপস্থিতিতে পটিয়া পটিয়া উপজেলা বি এন পির সিনিয়র সহসভাপতি নির্বাচিত হয়, পাশাপাশি, জেলা বি এন পির সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করে। উনার রাজনৈতিক যখন উনার রাজনৈতিক উচ্চাশা প্রকাশ পায়, তখনই পটিয়ার নেতৃত্ব থাকা পটিয়া বিএনপির রাজনীতিবিদ গন উনার উত্থান টেকাতে, ব্যর্থ চেষ্টা করে। যার ফলে পটিয়ায় গ্রুপিং রাজনীতির প্রকাশ্য রুপ নেয়। সেই গ্ররুপিং রাজনীতির সুযোগে নিজের সাংগঠনিক দক্ষতা প্রকাশ করে, কেন্দ্র ঘোষিত সকল কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করে সবার নজর কাড়ে। বি এন পি সুবিধা ভোগীও নেতৃবৃন্দ যখন গা ঢাকা দেয়, তৃনমুল কর্মীদের খোজ খবর না রেখে নিজেদের ব্যবসা বানিজ্য নিয়ে ব্যস্থ, তখন আজকের এনাম ভাই নিজের ব্যবসা বানিজ্য বিসর্জন দিয়ে পটিয়া বি এন পির হাল ধরে। এর ফলে আওয়ামী সরকারের রোশানলে পতিত হয়ে, অবর্ননীয় জেল জুলুম নির্যাতনের শিকর হয়ে, কয়েক বার কারাভোগ করে। ততদিনে এনাম ভাই চট্টগ্রামের সিনিয়র নেতৃত্বের ও কেন্দ্রের স্নেহের পরশে আবদ্ধ হয়ে যায়। বিশেষ করে দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দু-দুবার উকিয়া টেকনাফ সফর কালে নজির বিহিন শোডাউন করে, কেন্দ্রে আলোচিত হয়। সেই সাথে দলীয় কর্মসূচীতে অংশ গ্রহন করে দক্ষিণ জেলার প্রিয় ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠে। দক্ষিণ জেলা বি এন পির অপর নাম এনামুল হক এনাম। বিরোধী দলের রাজনীতি করে, পটিয়ায় এক জনপ্রিয় নেতার আসন দখল করে নেয়। দলীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দের আস্থাভাজন হন। তারই পুরুষ্কার স্বরুপ একাদ্বশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বি এন পির টিকেট হাতের মুঠায়। বি এন পি নেতৃবৃন্দ যদি ঐক্য বদ্ধ ভাবে কাজ করে, সুষ্ঠ নির্বাচন যদি আমরা আদায় করতে পারি, পটিয়ার হারনো আসন পুনঃরোদ্ধার সময়ের ব্যপার। সুযোগ বার বার আসবেনা তৃনমুল নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ কর্মীবান্ধব এই নেতা দল কে অনেক কিছু দিয়েছেন। এবার আমাদের প্রতিদান দেওয়ার পালা।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।

মুক্তাগাছা প্রতিনিধি:

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুরের দায়ের কোপে ভাতিজা বউ শিউলী আক্তার খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়নের গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি চালক শরিফুল ইসলামের স্ত্রী শিউলী আক্তার (৩০) স্বপরিবারে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় তার চাচা শ্বশুর মৃত নেওয়াজ আলীর পুত্র সোলায়মান মিয়া তাদেরকে ডাকা ডাকি করে ঘর থেকে বের হতে বলে। দরজা খুলে শরিফুল ও তার স্ত্রী শিউলী ঘর থেকে বের হলে সোলায়মান তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে। এক পর্যায়ে সোলায়মানের হাতে থাকা দা দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে শুরু করে। সোলায়মান দা’ দিয়ে শিউলীর ঘাড়ে কোপ দিলে শিউলী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে সোলায়মান দা নিয়ে শরিফুলকে ধাওয়া দিলে শরিফ প্রাণ বাঁচাতে পুকুরে লাফ দিয়ে প্রণে বাঁচায়। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে।
নিহত শিউলী একই উপজেলার মুজাটি গ্রামের মৃত হামেদ আলীর মেয়ে। গত ১২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। শিউলর ৫ মাসের মেয়ে শিশুসহ ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার বিকেলে শিউলীর ৬ বছরের মেয়ে লামিয়া এর সাথে সোলায়মানের পুত্রের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার জেরেই সকালে নিহতের বাড়িতে এসে তাদের ঘুম থেকে ডেকে এ খুনের ঘটনা ঘটান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, শনিবার সকালে উপজেলার গোয়ারী উত্তর গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠায়। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুড়ের দায়ের কোপে ৩ সন্তানের জননী খুন।