১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।২রা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শনিবার

আবার হিন্দু ধর্মে ফিরে গেলেন অপু বিশ্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সোনাই ডেক্স:‘আমি একজন সনাতন ধর্মের মেয়ে ছিলাম। কিন্তু শাকিব খানকে বিয়ে করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছি। এখন ডিভোর্সের পর আমার যদি অপশন থাকতো তাহলে হয়তো আমি আবার সনাতন ধর্মে ফিরে যেতাম। এখন আমার সন্তান, সেই আমার এখন সবচেয়ে বড় অপশন। তাই আমি আমার ছেলের জন্য ইসলাম ধর্মই পালন করবো।’ বিচ্ছেদের পরও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমগুলোতে এমনই কথা বলেছিলেন চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস।

তবে ইদানিং অপু বিশ্বাসের ‘ধর্ম’ পালন নিয়ে নানা ধরনের কথা উঠেছে বিভিন্ন মহলে। তবে বিষয়টি বরাবরই এড়িয়ে গেছেন এই চিত্রনায়িকা। এবার ধর্ম প্রসঙ্গ নিয়ে -এর সঙ্গে কথা বলেছেন অপু। তিনি বলেন, ‘সব ধর্মের প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। তাদের সঙ্গে থাকতে গিয়ে আমি চেয়েছিলাম সারা জীবন অবশ্যই তাদের সম্মান দিয়ে যাব।

যেহেতু অল্প সময়ের মধ্যে অনেক কিছু (বিয়ে-বিয়ে বিচ্ছেদ) হয়ে গেছে, তার জন্য আমাকে তো আর কাগজ কলমে তারা কিছু করেননি, সে প্রমাণও তাদের কাছে নাই। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেছিলাম (ইসলাম ধর্মের কথা), আমি এখনও করি। কিন্তু আমার বাবা-মার সঙ্গে থেকে তো আমি ওটা করতে পারি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সামনে আমার একটা ভালো পরিকল্পনা আছে পারিবারিকভাবে। এতদিন নিজের পরিকল্পনায় চলেছি, এবার বাড়ির কথামতো চলতে হবে। কাগজে-কলমে, মনে প্রাণে বা গরুর মাংস খেয়ে বা হজ্ব করে আমি নিজে মুসলিম হইনি। একজনকে ভালোবেসে মুসলিম ধর্মকে সম্মান দেখিয়েছি, আজও দেখাই। সব ধর্মের প্রতি আমার সম্মান ও শ্রদ্ধা আছে।’

পাশাপাশি অপু আরও জানান, ‘আমার যখন শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে তখন আমি এক ঝলক কাবিননামা দেখে পরে আর তার কোনো হদিস পাইনি। আদালতের মাধ্যমে যেভাবে ধর্মান্তর করা হয় আমার বেলায় সে রকম কিছুই হয়নি।

ঈদ এবং ইসলাম ধর্মের প্রতি আমার যথেষ্ট সম্মান রয়েছে। কিন্তু আমার কখনো ঈদ উদযাপন করা হয়নি। কোরবানি ঈদ থেকে শুরু করে কোনো ঈদে কোনোদিন কিংবা এখনও আমি গো-মাংস স্পর্শ করিনি। আমার বাসার কাজের লোকদের জন্য আমি খাসি কোরবানির ব্যবস্থা করি।’

কোরআন শিক্ষার বিষয় নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোরআন শিখেছি, এখনও জানি, আমি পড়তেও পাড়ি। কিন্তু আমার তো (ইসলাম ধর্ম পরিবর্তন) কাগজে-কলমে হয়নি।’

সবশেষে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনি কি হিন্দু ধর্মেই থাকছেন? উত্তরে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি ওই ধর্মেই (হিন্দু ধর্ম) আছি। আমি পূজা করবো এবার, দূর্গাপূজা করবো এবার। আমি বরাবরই করে আসছি।’

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল শাকিব খান ও অপু বিশ্বাসের বিয়ে হয়। এরপর ২০১৬ সালে ১০ এপ্রিল একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ছয় মাস বয়সের ছেলে আব্রাম খান জয়কে সঙ্গে নিয়ে বিয়ে ও সন্তানের ব্যাপারে প্রথম মুখ খোলেন অপু।

ওই সময়ই তিনি জানান, শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার সময় অপু বিশ্বাস সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেন। তখন অপু বিশ্বাস নাম পরিবর্তন করে অপু ইসলাম নাম ধারণ করেন বলেও জানা যায়।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।