১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১লা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

সবাই প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু কেউ সংস্কার করে না গ্রাম নিখাঁইয়ের বেহাল দশার ১কি.মি রাস্তা।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

স্বপন মাহমুদ,সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি:

সবাই প্রতিশ্রুতি দেয় কিন্তু কেউ সংস্কার করে না। কাঁচা রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের একেবারে অনুপযোগী, প্রতিনিয়তই মানুষের হচ্ছে দূর্ভোগ। মেম্বার, চেয়ারম্যান এমনকি স্থানীয় সংসদ সদস্য এই কাচাঁ রাস্তাটি সংস্কার করে পাকা করে দিবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু এই রাস্তাটি পাকা তো ধুরের কথা এক মুঠো মাটিও ফেলা হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা।

 

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের গ্রাম নিখাই এলাকার (বিনিময় মোড় থেকে খোকা মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার কাচাঁ রাস্তা) সামন্য বৃষ্টির পানিতে এক হাটু পরিমাণ কাদাঁ হওয়ায় প্রায় ৩-৪ হাজার মানুষের যাতায়াতের চরম দূর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। রাস্তাটি এলাকার সর্বস্তরের জনগণের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ন হওয়ায় দ্রুত পাঁকা করণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সকল এলাকাবাসি।

 

নিখাঁই গ্রামের দুলাল মিয়া বলেন, কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের একটি মাত্র রাস্তা এটি। বর্ষার দিনে এই রাস্তা দিয়ে একেবারেই চলা করা যায় না। অনেক সময় মাটি পিচলে বয়স্ক মানুষ পড়ে গুরুত্বর আহত হয়। মটর সাইকেল, ভ্যান গাড়ি, সাইকেল কাদাঁ মধ্যে ডেবে গিয়ে উল্টে যায়। এসব দেখার যেন কেউ নেই। গত ২ বছর আগে এই রাস্তার পাশে বিল খননের সময় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ড়াঃ মুরাদ হাসান এমপি এসে এই রাস্তা পর্যবেক্ষণ করে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছিলেন পাকা রাস্তা করে দেওয়া হবে। কিন্তু এখনও কিছুই হলো না। স্থানীয় দোকানদার ফারুক মন্ডল বলেন, কি আর বলবো আমরা স্থানীয়রা চাঁদা তুলে এই রাস্তার কিছু কিছু জায়গাতে মাটি দিয়েছি। এলাকার জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যান মেম্বার কোন খবর নেয় না। আমরা স্থানীয়রা এই কাঁচা রাস্তাটি পাকা করার দাবি জানাচ্ছি সরকারের কাছে।

 

ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি স্বপন বলেন, দিনের বেলায় কোন রকম করে জুতা হাতে নিয়ে কাঁদা পার হওয়া যায়। কিন্তু রাতের বেলায় আর যাওয়া যায় না। আমরা এলাকাবাসী এই রাস্তা দ্রুত পাকা করনের দাবি জানাই।স্থানীয় আ.লীগ নেতা রাঙ্গা মিয়া বলেন, এলাকাবাসী এই রাস্তাটি পাকা করণের জন্য উপজেলা ইউএনও মহোদয় বরাবর আবেদন করেছেন। তবুও এই রাস্তা হচ্ছে না।

 

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সরাফত আলী জানান, রাস্তায় মাটি দেওয়ার জন্য আশপাশে থেকে কোন মাটি পাওয়া যায় না। এজন্যই রাস্তায় মাটি দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে খুব দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এব্যাপারে ডোয়াইল ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন রতনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিখাঁই এলাকার রাস্তাটি দিয়ে অনেক ধরনের মাটি কাটার গাড়ি চলে। এজন্যই রাস্তাটির বেহাল দশা। তবে এলাকাবাসীর চলাচলের উপযুক্ত করার জন্য আগামী ১মাসের মধ্যে ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে।

 

 

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।