রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ
সোমবার সকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের মিলনায়তনে উপজেলার সার-কীটনাশক ব্যবসায়ী, কৃষক/কৃষানীদের সাথে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
নকশীকাঁথার আয়োজনে ভিএসওইন বাংলাদেশের সহায়তায় সেভ ফুড প্রমোশন প্রকল্পের আওতায় নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করণের লক্ষে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ এস এম এনামুল ইসলাম বলেন বিষ মুক্ত , নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে প্রয়োজন ফসলে জৈব প্রযুক্তির ব্যবহার। তিনি কেঁচো কম্পোস্ট সার তৈরীর বিভিন্ন পদ্ধতি ,কীটনাশক বিহীন উৎপাদিত ফসলের উপকারিতা, জৈব পদ্ধতিতে ফসলের পোকাদমন পদ্ধতি সহ অন্যান্য বিষয়ে মাল্টিমিডিয়া ভিত্তিক বক্তব্য রাখেন।
নকশীকাঁথার সভাপতি সাবেক অধ্যাপক শাহানা হামিদের সভাপতিত্বে সভায় সেভ ফুড প্রমোশন প্রকল্পের লক্ষ্য উদ্দেশ্য সহ অন্যান্য বিষয়ে বক্তব্য রাখেন নকশীকাঁথার পরিচালক চন্দ্রিকা ব্যানার্জী। তিনি বলেন উপকূলীয় শ্যামনগরে লবনযুক্ত এলাকা হলেও কৃষি ফসল উৎপাদনের সম্ভবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে জৈব পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদন করে বাজারজাতকরণ করা হলে সকলে নিরাপদ খাদ্য সংগ্রহ করতে পারবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য সহ জৈব সার তৈরী পদ্ধতি ও জৈব প্রযুক্তিতে উৎপাদিত ফসলের উপকারিতা বিষয়ে আলোচনা করেন ফ্রেন্ডশিপের কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম, সুশীলন কর্মকর্তা জাকির হোসেন, কারিতাস কর্মকর্তা হরিদাশ মন্ডল,শিক্ষক রনজিৎ কুমার , সাংবাদিক আনিছ সুমন প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় কীটনাশক ব্যবসায়ী অক্ষয় মন্ডল , মুজিবর গাজী, নুর আলম, কৃষক বিপ্র মল্লিক সহ অন্যান্যরা বলেন জৈব পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনে মাটির স্বাস্থ্য ভাল থাকে, মাটির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পায়, ফসলের উৎপাদন বেড়ে যায় এবং রান্নায় তরকারির স্বাদ পাওয়া যায় ভাল। এ ছাড়া বক্তারা বলেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারি করতে হলে বিষমুক্ত ফসল উৎপাদনের বিকল্প নেই।
ছবি- শ্যামনগরে রাসায়নিক কীটনাশক ব্যবসায়ী ও কৃষকদের সাথে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের সভায় অংশগ্রহণকারী।
Leave a Reply