১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শনিবার

লালমনিরহাটে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করে বাড়ি ছাড়া এমদাদুল হক।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ:

লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেলের বিরুদ্ধে হাতীবান্ধা থানায় অভিযোগ করে দোকান ও বাড়ি ছাড়া হয়েছেন এমন অভিযোগ বড়খাতা বাজারের এমদাদুল হক নামে এক ব্যবসায়ীর।

 

তার অভিযোগ, গত ২৯ জুলাই তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে ওই চেয়ারম্যান ও গ্রাম পুলিশ মারধর করে ১০টি জমির দলিলে (স্ট্যাম্প) স্বাক্ষর নেয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই হাতীবান্ধা থানায় অভিযোগ করলেও ৪দিনেও কোনো ব্যবস্থা নেইনি পুলিশ। এখন চেয়ারম্যানের লোকজনের ভয়ে বাজারে ব্যবসা করা তো দুরের কথা বাড়ি ছাড়াও হয়েছেন তিনি।

 

তবে ওই ব্যবসায়ীকে মারধর, স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়া ও তাকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হাতীবান্ধা উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দালাল পাড়া গ্রামের তরিমুদ্দিনের পুত্র এমদাদুল হকের বড়খাতা বাজারে একটি যন্ত্রাংশের দোকান রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে বড়খাতা বাজারে তার দোকানের পাশে একটি চায়ের দোকান থেকে বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেলের হুকুমে শফিকুল ইসলামসহ ৩জন গ্রাম পুলিশ এমদাদুল হককে ধরে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে যায়। পরে চেয়ারম্যান ও গ্রাম পুলিশ তাকে মারপিট করে ১০টি জমির দলিলে (স্ট্যাম্প) স্বাক্ষর নেয়। এবং বড়খাতা বাজারে ব্যবসা করতে দিবে না বলে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়। খবর পেয়ে স্থানীয় কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।

 

এ ঘটনায় এমদাদুল হক বাদি হয়ে গত ২৯ জুলাই বাদী হয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন ও হাতীবান্ধা থানায় ২টি পৃথক পৃথক অভিযোগ দাখিল করেছেন। কিন্তু অভিযোগ দেয়ার ৪দিন অতিবাহিত হলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেইনি পুলিশ এমন অভিযোগ এমদাদুল হকের।

 

তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পর চেয়ারম্যানের লোকজনের ভয়ে তিনি বড়খাতা বাজারে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারছে না। এমন কি গতকাল রাতে তার বাড়ি গিয়েও তাকে হুমকি দেয়া হয়েছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা করায়। তিনি এখন ভয়ে বাড়ি ছাড়া হয়েছেন।

 

তবে বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের জানান, ওই এমদাদুল হক কোথায় দোকান করেন তা আমি জানি না। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পর তার সাথে আমার দেখাই হয়নি। তাকে আমি হুমকি দিবো কি ভাবে?

 

হাতীবান্ধা থানার অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, পুরো বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি। ০১৭৩৫৪৩৮৯৯৯

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।