১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।শনিবার

রিক্সা চালিয়ে লেখা-পড়া করেন ৫ম শ্রেনীর ছাত্র লিমন!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রিক্সা চালিয়ে লেখা-পড়া করেন ৫ম শ্রেনীর ছাত্র লিমন!
দুই বোনের লেখা পড়াও চলছে তার উপার্জিত অর্থেঃ
।।জসিম মাহমুদঃ
গুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের হলদিয়া গ্রামের (বর্তমানে আমতলী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের মিঠা বাজার) এলাকার মো. লিমন রিক্সা চালিয়ে যোগান লেখা পড়ার খরচ। আমতলী বন্দর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্র লিমন। শুধু তাই নয় দুই বোনের লেখা পড়াও চলছে তার উপার্জিত অর্থে।

হলদিয়া ইউনিয়নের হলদিয়া গ্রামের বাবুল প্যাদার ছেলে মো. লিমন। তিন সন্তানকে রেখে লিমনের পিতা বাবুল প্যাদা দ্বিতীয় বিবাহ করায় লিমনের মা জাহানারা বেগম স্বামী বাবুল প্যাদাকে ডিভোর্স দিয়ে আমতলী পৌর শহরের মিঠাবাজারে একটি ছোট ঘরে ভাড়া থাকে। জাহানারা আমতলী সিনেমা হলের পাশে চা বিস্কুটের দোকান দিয়ে দুই মেয়ে ও ছেলেকে স্কুলে পড়া লেখা করান। জাহানারার আয় দিয়ে তিন সন্তানের খাওয়া জোটে না ঠিকমত।
তাই ১১ বছর বয়সী লিমন বাধ্য হয়ে চালাচ্ছেন রিক্সা। দিনে স্কুল শেষে বাসায় ফিরে ঘণ্টাখানিক পড়া লেখা করে রিক্সা নিয়ে বেরিয়ে পরে লিমন। রাত ১১ টা পর্যন্ত রিক্সা চালিয়ে দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় হয় তার। সেই টাকা দিয়ে চলছে লিমনের বড় বোন লিয়া মনি ও ছোট বোন ফাতেমার লেখা পড়া। লিয়া মনি আমতলী গালর্স স্কুলের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী ও ফাতেমা আমতলী বন্দর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর।

লিমনের মা জানান, লিমনের পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ তার অনেক বেশি। আমার আয়ে সংসার চালানোই দায়, তাই রিক্সা চালাতে বাধ্য হয়েছে সে।
মো. লিমন জানায়, নিজের এবং বোনদের লেখা পড়ার জন্য যত পরিশ্রমী হোকনা কেন সে করবে। কোন ভাবেই বন্ধ করবেন না লেখাপড়া।
আমতলী বন্দর মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জাকির হোসেন বলেন, লিমন মেধাবী ছাত্র। সে নিয়মিত স্কুলে আসে। লিমনের কাছ থেকে পরীক্ষার কোন ফি নেয়া হয়না । যতটুকু পারি আমরা শিক্ষকরা লিমন ও তার বোন ২য় শ্রেণীর ছাত্রী ফাতেমাকে সহযোগীতা করি ।
আমতলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. মজিবুর রহমান বলেন, লিমন রিক্সা চালিয়ে নিজে ও তার বোনদের পড়া লেখার খরচের জন্য উপার্জন করেন এতে আমি অভিভুত। উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে লিমনকে সহযোগীতা করা হবে।
এমটিনিউজ২৪.কম

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।