১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শনিবার

রাজশাহীতে আরও ১৭ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ১৭ জনের। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (০৪ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার (০৫ আগস্ট) সকাল ৯টার মধ্যে হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন ইউনিটে এরা মারা যান।

এই এক দিনে রাজশাহীর পাঁচজন, নাটোরের চারজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের তিনজন, পাবনার তিনজন, নওগাঁর একজন এবং কুষ্টিয়ার একজন করে মারা গেছেন। এদের মধ্যে করোনায় ছয়জন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে আটজন এবং করোনা নেগেটিভ হয়ে তিনজন মারা গেছেন।

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নাটোরের তিনজন, রাজশাহীর একজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একজন এবং নওগাঁর একজন মারা গেছেন করোনা সংক্রমণে। করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন রাজশাহীর তিনজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের দুজন, পাবনার দুজন এবং নাটোরের একজন। করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় রাজশাহী, পাবনা এবং কুষ্টিয়ার একজন করে মারা গেছেন।

পরিচালক আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ চারজন মারা গেছেন হাসপাতালের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ছাড়া ১৬ ও ২৯/৩০ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজন করে, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন এবং নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ), ১, ৫, ১৪, ২২ ও ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত ৫১৩ শয্যার রামেক করোনা আইসোলেশন ইউনিটে রোগী ভর্তি ছিলেন রাজশাহীর ১৭০ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪০ জন, নাটোরের ৫৭ জন, নওগাঁর ৩২ জন, পাবনার ৬৬ জন, কুষ্টিয়ার আটজন, চুয়াডাঙ্গার পাঁচজন, জয়পুরহাটের তিনজন, বগুড়ার দুজন এবং ঝিনাইদহ জেলার একজনসহ মোট ৩৯১ জন। ২০ শয্যার আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন ২০ জন।

এদের মধ্যে করোনা নিয়ে এ পর্যন্ত ভর্তি রয়েছেন ১৮৮ জন। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১২৬ জন। করোনা ধরা পড়েনি হাসপাতালে ভর্তি ৭৭ জনের নমুনায়। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৯ জন। এই এক দিনে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩৬ জন।

এর আগে বুধবার (০৪ আগস্ট) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল ল্যাবে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ৩৩ জনের নমুনায়। একই দিনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে আরও ২৮২ জনের। এর মধ্যে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৫ জনের। পরীক্ষার অনুপাতে রাজশাহীর ২৩ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রামেক হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ১ আগস্ট ১৮ জন, ২ আগস্ট ১৫ জন, ৩ আগস্ট ১৯ এবং ৪ আগস্ট ১৪ জনসহ ৬৬ জন মারা যান। এর মধ্যে করোনায় ২৪ জন, করোনা সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে ৩৪ জন এবং করোনা নেগেটিভ সত্ত্বেও অন্যান্য শারীরিক জটিলতায় আটজনের মৃত্যু হয়।

গত বছরের এপ্রিল থেকে এই বছরের জুলাই পর্যন্ত রামেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯ হাজার ৩৯ জন রোগী। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়ে গেছেন ২ হাজার ৫১১ জন।

এই ১৫ মাসে মারা গেছেন ১ হাজার ৬০৯ জন। এর মধ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫২৬ জনের। অন্যদের মৃত্যু হয়েছে উপসর্গ নয়তো অন্যান্য শারীরিক জটিলতায়।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।