১৩ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।২৯শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

রশিদ নগরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ কাউছার ঊদ্দীন শরীফ, কক্সবাজার।

 

কক্সবাজারের রামু উপজেলার রশিদ নগরে ভুল চিকিৎসায় হামিদা আক্তার (৩৫) নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে নিহতর স্বামী শাহালমের অভিযোগ।

 

সোমবার ২৭ সেপ্টেম্বর রাত ১২ টার দিকে বর্ণিত ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কল্যাণ কেদ্রে এ ঘটনা ঘটে।

 

জানা যায়, বর্ণিত ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের হামিরপাড়া এলাকার শাহালমের স্ত্রীর অন্তঃসত্ত্বা প্রসব বেদনা উঠলে ঐ রাতে রশিদ নগর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কল্যাণ কেদ্রে নেয়া হয়। এসময় কর্তৃপক্ষ ডাক্তার জান্নাতুল ফেরদৌস ঝুখকা নরমাল ডেলিভারি কথা বলে দশ হাজার টাকা দাবী করেন।

 

এ সময় রোগীর স্বজনরা উপায়ন্তুর না দেখে কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী অর্থ প্রদান করে পুবালীর অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত দেয়। হাসপাতালের ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস ঝোনকা অস্ত্রোপচার করেন। অস্ত্রোপচারের পর সন্তানের জন্ম দেয়।

 

নবজাতক সুস্থ থাকলেও প্রসূতি হামিদার প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। হাসপাতালের ডাক্তার তার ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। রাত সাড়ে ১২টার দিকে হঠাৎ জানানো হয় প্রসূতিকে কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে হবে। দিনমজুর শাহালম প্রসূতিকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে ঈদগাঁও মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।

 

নিহতের স্বামী জানান, ক্লিনিকের ডাক্তার তার স্ত্রীকে নরমাল ডেলিভারি করবে বলে দশ হাজার টাকা দাবী করেন। আমি টাকা দিয়ে নরমাল ডেলিভারি করতে বলি। রাত সাড়ে ১২ টার দিকে হঠাৎ করে তারা তার স্ত্রীকে কক্সবাজার নিতে বলে জানান। এসময় রোগির রক্তক্ষরণ হতে থাকায় ঈদগাঁও মেডিকেলে নিয়ে আসলে আমার স্ত্রী মৃত্যু হয়েছে বলে জানান।

ভুল চিকিৎসায় তার স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

 

অভিযুক্ত স্বাস্থ্য কল্যাণ কেদ্রের ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস ঝুখকা বলেন, সোমবার রাত ৯ টার দিকে এক প্রসূতিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে ওর স্বজনরা। এসময় সিজার দেখে প্রসূতিকে রামু উপজেলা হাসপাতালে রেপার করি।এসময় স্বজনদের জোরাজুরিতে চিকিৎসা করতে বাধ্য হয়। চিকিৎসা করার সময় কোন ধরনের দূর ঘটনা ঘটলে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কল্যাণ কেদ্র কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব নিবে না মর্মে লিখিত অঙ্গিকার নামা করা হয়েছে।পরে স্বজনরা ঈদগাঁও মেডিকেলে নিয়ে গেলে ঐ প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি।

 

এবিষয়ে রশিদ নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমডি শাহালমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,এ ডাক্তার রোগীর থেকে দশ হাজার টাকা দাবী করে রোগীর স্বজনরা দশ হাজার টাকা দিতে না পারাই চিকিৎসাতে অবেলা করে ডাক্তার এতে রোগীর মৃত্যু হয়।তিনি আরও জানান, এ ডাক্তারের বিরুদ্ধে এক ডজন বেশি অভিযোগ রয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।