৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বুধবার

মোরেলগঞ্জে ১৮টি হিন্দু পরিবারের ফসলি জমি দখল: ৮ম শ্রেণীর মেয়েকে জোরপূর্বক বিয়ে!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সোনাই নিউজ:আমরা অসহায়। পথে ঘাটে লাঞ্চিত হচ্ছি। বিলান জমি জোর করে দখল করে নিচ্ছে। জুয়াড়ীদের কাছে লিজ দিচ্ছে আমাদের বাগান বাড়ি’।

মঙ্গলবার দুপুরে এমন নানা অভিযোগ করেন বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বাদুরতলা গ্রামের ১৮টি সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের নারী-পুরুষ সকলে।

ক্ষমতাসীন দলের নামে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা স্থানীয় কতিপয় উশৃঙ্খল ব্যক্তির একটি চক্র ওই ১৮টি পরিবারের ফসলি জমি দখল করে নিচ্ছে। বাগান লিজ দিয়ে সেখানে গোপন বৈঠক, জুয়া ও মাদকের আসর বসাচ্ছে। নানাভাবে অত্যাচার-নির্যাতন ও হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। ফলে বাপ-দাদার ভিটে-মাটিতে তারা স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পাছে না।

অভিযোগে জানা গেছে, বাদুরতল গ্রামের ১৮টি হিন্দু পরিবার নানাভবে নির্যাতিত। এরা হচ্ছেন, অতুল চন্দ্র হালদার, রাখাল মাঝি, জগদীশ হালদার, তরুণ হালদার, সঞ্জীব দর্জী, কমল সুতার, ক্ষুদিরাম মন্ডল, রবিন্দ্রনাথ হালদার, সুভাস মাঝি, তপন মাঝি, দিনেশ মিস্ত্রী, কালিপদ মিস্ত্রী, সন্ত্রেন্দ্রনাথ ঢালী, সন্তোষ ঢালী, পরিতোষ ঢালী, কৃষ্ণকান্ত মিস্ত্রী, রাম কৃষ্ণ মাঝি ও পরিতোষ হালধার।

ভূক্তভোগী অতুল চন্দ্র হালদার, রাম কৃষ্ণ মাঝি, তরুণ হালদার বলেন, স্থানীয় জাহাঙ্গীর হাওলাদার আ. লীগ নেতা ফরুক শেখসহ ৪/৫ জনের একটি চক্র এক বছল পূর্বে রাখাল মাঝির ৪৬ শতক ফসলি জমি দখল করে নেয়। বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে রাখাল মাঝিকে সেই জমির দখল বুঝিয়ে দেন। কৃষ্ণকান্ত মিস্ত্রীর ৮ম শ্রেণিতে পডুয়া মেয়েকে জোরপূর্বক বিয়ে করেন এই চক্রের প্রধান জাঙ্গীর হাওলাদার। এর পরে কৃষ্ণকান্ত স্বপরিবারে ৭/৮বছর ধরে এলাকার বাইরে অবস্থান করে আবার ফিরে আসেন।

হালদার বাড়ীর বাগানে বসানো হয় জুয়া ও মাদকের আসর। জুয়াড়ীদের কাছে এই বাগানটি মাসে ১ হাজার টাকায় ইজারা দেয় প্রভাবশালী ওই চক্রটি।

সর্বশেষ, গত শুক্রবার অতুল হালদারের পূর্ব পুরুষ থেকে ভোগ দখলীয় এক একর ১২ শতক ফসলী জমিতে আকস্মিকভাবে চাষাবাদ শুরু করেছেন বাদুরতলা গ্রামের জাহাঙ্গীর হাওলাদার, ফারুক শেখ ও তাদের সহযোগীরা।

এসব অত্যাচারের বর্ণনা দিতে গিয়ে রাম কৃষ্ণ মাঝি বলেন, ‘আমরা কোথাও ন্যায় বিচার পাচ্ছি না। অজ্ঞাত কারণে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন ইউপি চেয়ারম্যান।
এভাবে অন্যায় অবিচার না করে আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদেরকে বলে দিলেই আমরা সবকিছু রেখে চলে যেতে রাজি আছি’। এ সময় অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন অতুল চন্দ্র হালদার।

এদিকে জাহাঙ্গীর হাওলাদার এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ফারুক শেখ ও আমি ক্রয় সূত্রে ওই জমিতে চাষাবাদে গিয়েছি। অন্যায় কিছু করা হয়নি।’

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।