২২শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৭ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

মাধবপুরে করোনা প্রতিরোধে ইউনিয়ন ভিত্তিক ট্যাগ অফিসার নিয়োগ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মাধবপুর প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুরে কোভিড-১৯ নোবেল করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় প্রত্যেক ইউনিয়নে একজন করে ট্যাগ অফিসার নিযুক্ত করেছে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাসনূভা নাশতারাণ জানান, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা লোকজন নিয়ম-কানুন যথাযথভাবে না মানায় উপজেলায় সকল শ্রেণির জনগণের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণের হুমকি দেখা দিয়েছে, উপজেলার সকল হাটবাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ইউনিয়ন ভিত্তিক হাট বাজারে সুষ্ঠু মনিটরিংয়ের জন্য প্রতি ইউনিয়নে একজন করে ট্যাগ অফিসার নিযুক্ত করা হয়েছে।

তারা ইউনিয়ন পরিষদের গঠিত কমিটির সাথে সমন্বয় করে কাজ করবেন। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, সমাজসেবা কর্মকর্তা সোলায়মান মজুমদার ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন ধর্মঘর ইউনিয়ন,

উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পরিদর্শক সাইফুজ্জামান ও সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌমুহনী ইউনিয়ন, উপজেলা প্রকৌশলী জুলফিকার হক চৌধুরী ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা তাপস ক্রান্তি বড়ুয়া বহরা ইউনিয়ন, জন স্বাস্থ্য উপ সহকারী প্রকৌশলী লোকমান মিয়া আদাঐর ইউনিয়ন,মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আন্দিউড়া ইউনিয়ন, শিক্ষা কর্মকর্তা দ্বিজেন্দ্র আচার্য্য শাহাজাহানপুর ইউনিয়ন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা  জান্নাত সুলতানা ও সার্ভেয়ার সোহেল রানা জগদীশপুর ইউনিয়ন, প্রানীজ সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মুজিবুর  রহমান বুল্লা ইউনিয়ন,

মৎস্য কর্মকর্তা আবু আসাদ ফরিদুল হক নয়াপাড়া ইউনিয়ন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাসুদুল ইসলাম ছাতিয়াইন ইউনিয়ন, রিসোর্ট সেন্টারের প্রশিক্ষক শাহাদাত হোসেন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম ১নং ওয়ার্ড, মাধবপুর পৌরসভা,কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম ২ থেকে ৬নং ওয়ার্ড, মাধবপুর পৌরসভা, আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্পের সমন্বয়ক পারভীন আক্তার ৭ থেকে ৯নং ওয়ার্ড, মাধবপুর পৌরসভা’র ট্যাগ অফিসার নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।

মুক্তাগাছা প্রতিনিধি:

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুরের দায়ের কোপে ভাতিজা বউ শিউলী আক্তার খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়নের গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি চালক শরিফুল ইসলামের স্ত্রী শিউলী আক্তার (৩০) স্বপরিবারে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় তার চাচা শ্বশুর মৃত নেওয়াজ আলীর পুত্র সোলায়মান মিয়া তাদেরকে ডাকা ডাকি করে ঘর থেকে বের হতে বলে। দরজা খুলে শরিফুল ও তার স্ত্রী শিউলী ঘর থেকে বের হলে সোলায়মান তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে। এক পর্যায়ে সোলায়মানের হাতে থাকা দা দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে শুরু করে। সোলায়মান দা’ দিয়ে শিউলীর ঘাড়ে কোপ দিলে শিউলী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে সোলায়মান দা নিয়ে শরিফুলকে ধাওয়া দিলে শরিফ প্রাণ বাঁচাতে পুকুরে লাফ দিয়ে প্রণে বাঁচায়। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে।
নিহত শিউলী একই উপজেলার মুজাটি গ্রামের মৃত হামেদ আলীর মেয়ে। গত ১২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। শিউলর ৫ মাসের মেয়ে শিশুসহ ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার বিকেলে শিউলীর ৬ বছরের মেয়ে লামিয়া এর সাথে সোলায়মানের পুত্রের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার জেরেই সকালে নিহতের বাড়িতে এসে তাদের ঘুম থেকে ডেকে এ খুনের ঘটনা ঘটান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, শনিবার সকালে উপজেলার গোয়ারী উত্তর গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠায়। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুড়ের দায়ের কোপে ৩ সন্তানের জননী খুন।