৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বুধবার

ভারতে দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

ভারতে দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। ফলে কিছুটা স্বস্তির দেখা মিলেছে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ হাজারের নিচে নেমে এসেছে। ১৩২ দিন পর সংক্রমণের নিম্নগতি লক্ষ্য করা গেল। দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ২৯ হাজার ৬৮৯ জন। এর আগে চলতি বছরের ১৭ মার্চ সংক্রমণ ছিল ২৮ হাজার ৯০৩।

গত ১৭ মার্চের পর থেকে ধারবাহিকভাবে বেড়েই গেছে দৈনিক সংক্রমণ। এক সময় তা চার লাখের গণ্ডিও ছাড়িয়ে যেতে দেখা গেছে। অবশেষে চার মাস পর সংক্রমণ কমতে কমতে এই প্রথম ৩০ হাজারের নিচে নামল। একদিন আগেই নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩৯ হাজার ৩৬১। একই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৪১৬ জনের।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে বেশিরভাগ রাজ্যে সংক্রমণ কমলেও কেরালা ও মহারাষ্ট্রে এখনও দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। ভারতে দৈনিক আক্রান্তের মতো কমতে শুরু করেছে দৈনিক মৃত্যুও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৪১৫ জনের। এখন পর্যন্ত ভারতে করোনায় প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ৪ লাখ ২১ হাজার ৩৮২ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা কমেছে ১৩ হাজারেরও বেশি। এর ফলে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা নামল চার লাখের নিচে। চলতি বছর গত ২৫ মার্চ শেষবার দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ৪ লাখের কম। দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে ধারাবাহিকভাবে বাড়তে শুরু করে সক্রিয় রোগী। এক সময় তা ৩৭ লাখও পেরিয়েছিল। কিন্তু সংক্রমণতে কমতে শুরু করায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও কমেছে। ভারতে এখন সক্রিয় রোগী রয়েছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ১শ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৪২ হাজার ২৬৩ জন। অর্থাৎ দৈনিক সংক্রমণের তুলনায় সুস্থতার সংখ্যা বেশি। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হয়েছে কেরালায়। সেখানে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ৫৮৬। একই সময়ে মারা গেছে ১৩৫ জন।

করোনা মহামারির প্রথমদিকে মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি থাকলেও গত কয়েকদিনে ওই রাজ্যকে ছাড়িয়ে গেছে কেরালা। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার। একই সময়ে মারা গেছে ৫৩ জন। এদিকে, আসামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৫২৮, মনিপুরে ৯৮৯, মেঘালয়ে ৫৬৯, অরুণাচল প্রদেশে ৪৯০ এবং ত্রিপুরায় ৪৫৮।

তবে বেশ কিছু রাজ্যে সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে। গুজরাটে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৩১ জন, উত্তরপ্রদেশে ৫৩ জন, রাজস্থানে ১৮ জন, পাঞ্জাবে চারজন এবং মধ্যপ্রদেশে ছয়জন। অপরদিকে, গুজরাট, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে কারও মৃত্যু হয়নি। ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৬ লাখের বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৪৪ কোটি ১৯ লাখ মানুষ। চলতি বছরের শেষ নাগাদ প্রাপ্ত বয়স্ক সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।