অ্যাথলেটদের আনন্দ-বিষাদের গল্পে ছেয়ে যায় একেকটা অলিম্পিক আসর। বছরের পর বছর গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের একটি মেডেলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে কেউ হাসে, কেউ বা কাঁদে। তৃতীয়বারের মতো অলিম্পিক খেলতে আসেন আর্জেন্টাইন নারী ফেন্সার মারিয়া বেলেন পেরেজ মরিস। সফল হতে পারেননি, বিদায় হন প্রথম রাউন্ড থেকেই। তবে ব্যর্থতার গল্পকে মধুর করে তুললেন তারই কোচ গিলের্মো সসেদো।
টিভি ক্যামেরার সামনেই বিয়ের প্রস্তাব করে বসেন শিষ্যকে। গুরুর প্রস্তাবে অমত করেননি মারিয়াও। ১৭ বছর ধরে মারিয়ার কোচ সোসেদো। তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার ঘটনা এবারই প্রথম নয়। ২০১০ সালেও একবার প্রস্তাব দেন, কিন্তু ক্যারিয়ারের মাঝপথে থেকে সাড়া দেননি।
টোকিও অলিম্পিকে ফেন্সিং ইভেন্টে মারিয়ার পথচলা শেষ হয়েছে হাঙ্গেরির আন্না মার্টনের কাছে ১৫-১২ ব্যবধানে হেরে। সোমবার সকালে সোসেদো প্রস্তাবের সিদ্ধান্ত নেন। ভেন্যুর একজন স্বেচ্ছাসেবককে দিয়ে চিরকুট লেখার জন্য এক টুকরো কাগজ আনান তিনি। এরপর সেখানে লিখেন, ‘তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?’ এবার আর কোচকে হতাশ করেননি মারিয়া, ভুলে গেছেন হারের দুঃখও।
এ বিষয়ে বিশ্বের ২৭ নম্বর ফেন্সার মারিয়া বলেন, ‘আমি সব ভুলে গেছি, জানেন তো। আমি হ্যাঁ বলেছি, অবশ্যই সেটা বলতেই হতো।’
Leave a Reply