৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বুধবার

বিষমদ কান্ডে আজ কুখ্যাত মদ ব্যাবসায়ী খোড়া বাদশা কে আজীবন কারা বাসের সাজা ঘোষণা আলিপুর জেলা আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম।।

আজ থেকে প্রায় নয় বৎসর আগে পশ্চিম বাংলার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার উস্তি ও মগরাহাট থানা এলাকায় ভয়াবহ বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয়েছিল, ১৭২,জন, মানুষের। ঘটনাটি ঘটেছিল, ২0১১,সালে, ডিসেম্বর মাসে। সেই ভয়াবহ বিষমদ কান্ডের মৃত্যু ঘটনার ফলে উত্তাল হয়ে উঠে পশ্চিম বাংলার রাজ্যে রাজনিতিতে। সেই ভয়াবহ বিষমদ কান্ডে মৃত্যু নগরীর রূপ নেয় গোটা উস্হি ও মগরাহাট থানা এলাকায়। সেই সাথে যুক্ত হয় মন্দির বাজার ও ডায়মন্ড হারবার থানা এলাকার মানুষ। বিষমদ কান্ডের মৃত্যুর আকার এতটাই বেশি ছিল যে একের পর এক মানুষের লাশ বইতে হিমশিম খেতে হয় সাধারণ মানুষের। বিষমদ কান্ডে কারো বাবা কারো ভাই ও চাচা বন্ধু মারা যায়। যাদের আত্মনাদে মগরাহাট থানা ও উস্তি থানা এলাকার আকাশে ও বাতাসে ভেসে ওঠে। সেই মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটনার জেরে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে। এই বিষমদ কান্ডের তদন্তের ভার পড়ে পশ্চিম বাংলার সি আই ডি উপর। তারা তদন্ত করে মূল আসামি নুর ইসলাম ফকির লস্কর ওরফে খোড়া বাদশা কে দোষী সাব্যস্ত করে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা আদালত আলিপুরে চার্চ সিট পাঠিয়ে দেন। দীর্ঘ নয় বৎসর ধরে মামলা চলার পর আজ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা আদালত আলিপুর দোষী সাব্যস্ত করে বিষমদ কান্ডের প্রধান আসামি নুর ইসলাম ফকির লস্কর কে। তাকে আজীবন কারাদণ্ডে দন্ডিত করে বিচারপতি। সেই সাথে প্রমাণ ও সাক্ষীদের অভাবে সাতজন কে ছেড়ে দেন। এই বিষমদ কান্ডে ঘটনার রায় শুনে মৃত ব্যক্তির পরিবারের মধ্যে খুশির হাওয়া বইছে। সেই সাথে তাদের আক্ষেপ যারা ঔ বিষমদ কান্ডের প্রধান আসামি নুর ইসলাম ফকির লস্কর ওরফে খোড়া বাদশার কাছ থেকে মাসে মাসোহারা খেত তারা আজ শাসক দলের নেতা ও ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য ছাড় পেয়েছে। ওরা সমান ভাবে দোষী ছিল এই জঘন্য কাজ এর সহায়তা প্রদান করার জন্য। তারা আজ আইনের রক্ষিত। যখন এই বিষমদ কান্ডের ঘটনা ঘটে তার পরিপ্রেক্ষিতে সেই সময় উস্তি থানা ও মগরাহাট থানার এবং পারুলিয়া কোস্টাল থানার দায়িত্ব পালন কারী সার্কেল অফিসার শ্রী অলোক রন্ধন মুন্সী কে বদলি করা হয়। এবং উস্তি ও মগরাহাট থানার কিছু অফিসার কে বদলি করা হয় এই ঘটনার দায়ে।।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।