৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

বিনা অনুমতিতে প্রবেশে বাধা:মাধবপুরে মাদ্রাসা ছাত্র-চা শ্রমিক সংঘর্ষ,আহত-১৫

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মাধবপুর প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় পিকনিক করতে আসা মাদ্রাসা ছাত্র ও শিক্ষকদের সাথে চা শ্রমিকদের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে মৌলভীবাজার থেকে একটি বাস দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষকরা মাধবপুর উপজেলার ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধ এলাকায় পিকনিক করতে আসে।

এসময় তারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই বাগান এলাকায় প্রবেশ করলে নিরাপত্তা কর্মীরা বাধা প্রদান করলে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের ১৫  জন আহত হয়।

গুরুতর আহত তাপস নায়ক (২০)কে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে। সে মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানের অফিস টিলার বিশু নায়ক এর ছেলে।

আহত তাপস নায়ক জানান, মৌলভীবাজার থেকে মাদ্রাসার কয়েকশো ছাত্র শিক্ষক কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়েই চা বাগানে প্রবেশ করলে প্রবেশ গেইটের দায়িত্বে থাকা লোকজন বাধা দেয়ে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মাদ্রাসা ছাত্র ও শিক্ষকরা চা শ্রমিকদের উপর হামলা করে।

চা শ্রমিক নেতা স্বরজিত পাশী ও দিলিপ সাঁওতাল জানান, মৌলভীবাজার থেকে পিকনিক করতে পাচটি বড় যাত্রীবাহী বাস নিয়ে একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের নিয়ে শিক্ষকরা কোন অনুমতি না নিয়েই বাগানে প্রবেশ করলে শ্রমিকরা বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা চা শ্রমিকদের উপর হামলা করে। এসময় চা শ্রমিকরা পাগলা ঘন্টা বাজিয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে পাল্টা হামলা চালালে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

তেলিয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো: গোলাম মোস্তফা জানান, মৌলভীবাজার থেকে পিকনিক করতে আসা প্রায় ৩০০/৩৫০ মাদ্রাসা ছাত্র ও শিক্ষক অনুমতি না নিয়েই চা বাগান এলাকায় প্রবেশ করলে চা শ্রমিকরা বাধা দেয়। এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জরিয়ে পড়ে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। কয়েকজন মাদ্রাসা শিক্ষক ও চা শ্রমিক সামান্য আহত হয়েছে। গুরুতর আহত একজন চা শ্রমিককে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

তবে মাদ্রাসা ছাত্রদের কোন সমস্যা হয়নি। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে। এব্যাপারে এখনো কোনো মামলা হয়নি।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।