১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

বনানীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের এ পর্যন্ত ১৩ জন নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সোনাই নিউজ:রাজধানীর বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৩ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

আগুনে দগ্ধ ও আহত হওয়ার পর তাদের কুর্মিটোলা জেনারেল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন— পারভেজ সাজ্জাদ (৪৭), আমেনা ইয়াসমিন (৪০), মামুন (৩৬), শ্রীলঙ্কার নাগরিক নিরস চন্দ্র, আবদুল্লাহ আল ফারুক (৩২), মাকসুদুর (৬৬) ও মনির (৫০)।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে বনানী থানার ওসি ফরমান আলী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।এ ছাড়া অসমর্থিত খবরে ৬ জন মারা যাওয়ার কথা জানা যায়।

বনানী থানার কন্ট্রোলরুম থেকে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে আব্দুল্লাহ আল ফারুকের মরদেহ। তিনি আগুন লাগার পর আতঙ্কে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েছিলেন।

শ্রীলঙ্কার নাগরিক নিরস চন্দ্র কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে মারা গেছেন।

অন্যদিকে অ্যাপোলো হাসপাতালে মারা গেছেন আমেনা ইয়াসমিন। পারভেজ সাজ্জাদ বনানী ক্লিনিকে। আর মামুন, মাকসুদুর ও মনির ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়ার পর মারা গেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ২১তলা ভবনের নয় তলায় আগুন লাগে। এফআর টাওয়ারের পাশেই অনলাইন নিউজপোর্টাল পরিবর্তন ডটকমের অফিস। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় বনানীর প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের কার্যালয় বন্ধ করে দেয়া হয়। বিদ্যুৎসহ জরুরি সেবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।

আগুন লাগার পরপরই দেড়টার দিকে এফআর টাওয়ার থেকে আতঙ্কিত অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে নিচে লাফিয়ে পড়তে দেখেছে টিম পরিবর্তন।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার এনায়েতউল্লাহ পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, বনানীর এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এখন পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির সম্পর্কে কিছুই বলা যাচ্ছে না। আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছি। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।