৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

পতেঙ্গায় মাহমুদুন্নবী চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে বোরকা পড়ে গেলে বেশ্যা ও পতিতা -প্রধান শিক্ষক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

পতেঙ্গায় মাহমুদুন্নবী চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ে বোরকা পড়ে গেলে বেশ্যা ও পতিতা -প্রধান শিক্ষক।
——————————-
, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: শিক্ষক জাতির বিবেক যখন শিক্ষকের বিবেক নষ্ট মানসিকতার হয় তখন তা জাতির জন্য বিপদজনক। বিদ্যালয়ে বোরকা পড়ে যাওয়াতে ছাত্রীকে বেশ্যা ও পতিতা বলে খারাপ ব্যবহার করেছেন প্রধান শিক্ষক এম. এ. কাসেম।

গতকাল মঙ্গলবার(২৭ নভেম্বর) বিকেল ৩ টার সময় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানাধীন ৪১ নং ওয়ার্ড সংলগ্ন মাইজপারা মাহমুদুন্নবী চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রি সাদিয়া ফাতেমা ইসমা বোরকা পড়ে স্কুলে আসায় উক্ত স্কুলের প্রধান শিক্ষক এম.এ কাশেম এসব কথা বলেন। এরপর তার মা নুপুর বেগম তাকে স্কুলে নিয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষক এম.এ কাশেম স্যার এর সাথে কথা বলতে যায় এবং তার মেয়েকে বোরকা পরে স্কুলে প্রবেশের অনুমতি না দেয়ার ব্যপারে এবং এরুপ বাজে মন্তব্য করার কারন জানতে অফিস কক্ষে প্রবেশ করেন।

ছাত্রীর মা নুপুর বেগম তার মেয়ে সাদিয়া ফাতেমা ইসমা কে বোরকা পড়িয়ে স্কুলের অফিস কক্ষে প্রবেশ করলে প্রধান শিক্ষক এম.এ কাশেম বলেন, “তুমি কেন এই কক্ষে প্রবেশ করেছো ?”

https://youtu.be/xbknPBLrQxgমেয়েটির মা এবং আন্টি প্রধান শিক্ষক এম.এ কাশেম এর কক্ষে প্রবেশ করলে বসার জন্য চেয়ার নেয়, এমন সময় প্রধান শিক্ষক এর সহকারী বলেন, “তুমি অনুমতি না নিয়ে কেন এই চেয়ারে বসছো?” এবং সাথে সাথে চেয়ার থেকে তাকে উঠতে বাধ্য করে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং ছাত্রীর আন্টি সেই ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে চাইলে তার মোবাইল ফোন নিয়ে মাটিতে ছুড়ে ফেলে দেয়।

এ সময় বিশেষ সূত্রে খবর পায় চট্টগ্রামের সিপ্লাস টিভির রিপোর্টার মোঃ সাকিব। খবর পেয়ে মাইজপারার উক্ত ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক এম.এ কাশেম’র কক্ষে প্রবেশ করলে তাকেও বিভিন্ন ভাষায় গালাগালি করে এই শিক্ষক । এক পর্যায়ে ক্যামেরা বের করলে তাকে কলার ধরে ধাক্কা মারে এবং বলে, “তোমরা কোন বালের সাংবাদিক ? এসব সাংবাদিক আমি গোনি না!” এরপরে সহকারী শিক্ষকসহ অফিস পিয়নরা ক্যামেরা নিয়ে মাটিতে ছুড়ে ভেঙ্গে ফেলে তাকে মারধর করে এবং সিপ্লাস টিভির রিপোর্টার মোঃ সাকিব কে এক পর্যায়ে কক্ষ থেকে বের করে দেয়। পরে, স্কুল ছাত্রী ইসমার মা নুপুর বেগম কে ও তার আন্টি কলি আক্তার কে প্রধান শিক্ষক এম.এ কাশেম বলে, “তোদেরকে উলঙ্গ করে তোদের ছবি ফেইসবুক এ ছাড়লে কেমন হয়? যদি বেশি বাড়াবাড়ি করিস তাহলে এখন তোর গা থেকে শরীরে কোন পোষাক না রেখে বোরকা সহ সব খুলে ফেইসবুকে দিব এবং সে আরো বলে এরা বোরকা পরে পতিতালয়ে বেশ্যাবৃত্তি করে বেড়ায়। আর এখানেও সে কারণে আসছে আমাদের সাথে রাত্রিযাপন এর প্রস্তাব দিতে।

তৎক্ষনাৎ দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার সহ- সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান এবং বিশেষ প্রতিবেদক রবিউল হোসেন এবং দৈনিক বিশ্বমানচিত্র পত্রিকার রিপোর্টার রানা লতিফ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকদের হাত থেকে সিপ্লাস টিভির রিপোর্টার মোঃ সাকিব কে উদ্ধার করে। ততক্ষনাৎ প্রধান শিক্ষক এম.এ কাশেম এবং সহকারী শিক্ষক ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এলাকার লোকজন এর কাছে জানতে চাইলে তারা অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম.এ কাশেম এর নামে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তা সত্য বলে প্রমাণিত হয়।

এলাকাবাসী তাকে শিক্ষক হিসেবে নয় ” জঙ্গী” হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলে, “এইসব শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের উপর প্রায়ই অমানবিক নির্যাতন চালায় এবং কিছু বলতে গেলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। মাইজপারার এলাকাবাসী উক্ত প্রধান শিক্ষককে উক্ত স্কুলে চায়না বলে জানান।

উক্ত স্কুলের একজন প্রাক্তন ছাত্রী জানায়, “এই শিক্ষক মেয়েদের সাথে প্রায়ই অশালীন আচরণ করে এবং কু প্রস্তাব দেয় এবং মেয়েদের গায়ে প্রায়ই হাত দেয়।”

আরেকজন প্রাক্তন ছাত্র মিজান(ছদ্মনাম) এর সাথে কথা বলার পর সে জানায়, “এই স্কুল গার্মেন্টস স্কুল বলে এলাকাবাসী চিনে শুধুমাত্র এরকম শিক্ষদের কারণে এবং সেই ছাত্র এই স্কুলের শিক্ষকগনদের গুন্ডা বলে আখ্যা দেয়।

এক পর্যায়ে এলাকাবাসী তাকে সহ উক্ত স্কুলের ছাত্রছাত্রী গন উক্ত শিক্ষক এর বিচার চেয়ে স্লোগান দের এবং এলাকাবাসী এহেন শিক্ষক এর বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।