৯ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৪শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বুধবার

দেশে টিকার কোনো সংকট নেই : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি বলেছেন বাংলাদেশে টিকার কোন সংকেট নেই। দেশের সকল নাগরিকই কভিড-১৯ প্রতিরোধক টিকা পাবেন।

শনিবার সকালে সিলেট নগরীর রেড ক্রিসেন্ট মাতৃমঙ্গল হাসপাতালে সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার ‘জাতীয় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন’-এর ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এসময় তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিন নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। সরকারের হাতেও পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকার মওজুদ রয়েছে। পর্যায়ক্রমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী দেশের সকল মানুষকে করোনা প্রতিরোধক টিকা প্রদান করা হবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা সংগ্রহ করছে। আগামীতে আরো প্রচুর পরিমাণ টিকা দেশে আসবে।’

‘জাতীয় কভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন’কে যুগান্তকারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে এ টিকা নেয়ার আহবান জানান।

সিলেটে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান, এসএমপি কমিশনার নিশারুল আরিফ, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমদ পিপিএম, সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. নূর আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য বিভাগ সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা: হিমাংশু লাল রায়, সিলেটের সিভিল সার্জন ডা: প্রেমানন্দ মন্ডল, সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: জাহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

পরে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নগরের অন্যান্য টিকা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি ক্যাম্পেইন সফল করতে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।

উল্লেখ্য, সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৭টি ওয়ার্ডে ৮১টি কেন্দ্রে চলছে টিকাদান কার্যক্রম। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত টানা তিন দিন চলবে এই টিকা কার্যক্রম। প্রথম দিন প্রতিটি কেন্দ্রে ৩০০ জনকে টিকা দেয়া হবে। ৮ ও ৯ আগস্ট থেকে প্রতিদিন প্রতিটি কেন্দ্রে ২০০ জন নাগরিককে টিকা দেয়া হবে। সিসিকের এই কার্যক্রমে ১৬২ জন কর্মী কাজ করছেন। সূত্র : বাসস

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।