১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৭শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বুধবার

দুই হিন্দু নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বিবস্ত্র করে নির্যাতন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

জায়গা দখল করা নিয়ে বিরোধের জেরে বাগেরহাটের চিতলমারীতে দুই নারীকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী। এলাকার হিন্দু পরিবার গুলোতে আতংক।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চিন্তা হালদার জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের রায়গ্রামের দেবদাস ও সঞ্জিত রায়ের বাড়িতে সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে। দুপুর ১২টার দিকে প্রতিবেশী শাকিল ওরফে জাহিদ শেখের নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের একদল দুর্বৃত্ত দেশিয় অস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে।

এ সময় বাড়িতে কোন পুরুষ না থাকায় নারীরা বাধা দিতে এগিয়ে এলে বৃদ্ধা আয়না (৭০) ও তার পুত্রবধূ সুমতিকে (৪০) একটি বট গাছের সাথে বেঁধে বিবস্ত্র করে বেদম প্রহার করে। তাদের হাতের চুরি ও শাখা ভেঙে ফেলা হয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করে নির্যাতন চালায়। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা বাধা দিতে এগিয়ে এলেও ওই বাহিনীর হুমকির মুখে কেউই কাছে যেতে সাহস পায়নি।

খবর পেয়ে চিতলমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই দুই নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে চিতলমারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় শাকিল ওরফে জাহিদ শেখকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে চিতলমারী সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, শাকিল ও তার সঙ্গীরা বৃদ্ধা আয়না ও তার পুত্রবধূ সুমতিকে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালিয়েছে। এদের শাস্তি হওয়া দরকার।

এ ব্যাপারে শাকিল ওরফে জাহিদের মা জাহানারা বিবি জানান, ওই জায়গা নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে পূর্বের বিরোধ রয়েছে। ওই জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।

চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ অনুকূল সরকার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার থানায় মামলা (নং ৪) হয়েছে। ঘটনার মূল হোতা শাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সুত্র ইত্তেফাক

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।