৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২২শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

চাঁদপুরে পৃথক ট্রেন দূর্ঘটনায় অজ্ঞাত ২ ব্যক্তির মৃত্যু  ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ রিফাত পাটোয়ারী চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

চাঁদপুর শহরের মিশন রোডে ও হাজীগঞ্জ উপজেলার সাতবাড়িয়া নামক স্থানে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

১৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার রাত পোনে ১০ টার দিকে চাঁদপুর-লাকসাম রেলপথের চাঁদপুর শহরের মিশন রোডের পূর্ব দিকে খান বাড়ির সামনে এবং হাজীগঞ্জ সাতবাড়িয়া নামক স্থানে এ পৃথক দুটি ঘটনা ঘটে।

ট্রেনে কাটা পড়া নিহত এই অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির কোন নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তাদের একজনের বয়স আনুমানিক ৫৫ এবং অপর জনের বয়স ৩২ হবে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০ টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চাঁদপুর বড় স্টেশনে যাওয়ার পরপরই মিশন রোডের পূর্ব দিকে খান বাড়ির সামনে রেললাইনের পাশে এক অজ্ঞাত বৃদ্ধের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। ট্রেনের আঘাতে তার মাথার মগজ বের হয়ে রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।

পরে তারা বিষয়টি চাঁদপুর ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকে জানালে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি প্যাকেটজাত করে চাঁদপুর রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবগত করেন। খবর পেয়ে চাঁদপুর রেলওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে পিএম রিপোর্টের জন্য লাশ মর্গে পাঠান।

চাঁদপুর নতুন বাজার ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার জাকির হোসেন জানান, মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের আঘাতে অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়টি স্থানীয় লোকজন আমাদেরকে জানিয়েছে। আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি প্যাকেট করে চাঁদপুর রেলওয়ে থানা পুলিশকে অবগত করেছি।

অপরদিকে একই দিন বেলা সাড়ে ১২ টায় চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার সাতবাড়িয়া নামক স্থানে সাগরিকা ট্রেনের নিচে ৩২ বছর বয়সী এক অজ্ঞাত ব্যক্তি নিহত হয়েছে বলে রেলওয়ে থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়। তারও কোন নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। ওই ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেন রেলওয়ে থানা পুলিশ মামলা নং- ০৬/২১।

এ বিষয়ে চাঁদপুর রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মুরাদ উল্ল্যাহ বাহার জানান, মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের আঘাতে এই অজ্ঞাত বৃদ্ধের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল করে পিএম রির্পোটের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। তবে তারা দু,জনই অজ্ঞাত। তাদের কোন নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। আমরা পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করবো এবং পরিচয় শনাক্ত হলেই তাদের পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করবো।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।