সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।
ঢাকার কেন্দ্রীয় রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের নির্দেশে বাংলাদেশের কুৃমিল্লা,রংপুরের পীরগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর চলনাম সহিংসতা,মন্দির ও প্রতিমা ভাংচুর নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনের আয়োজনে শহরের ঘোলঘরস্থ রামকৃষ্ণ মিশনের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও ব্রাক্ষণ সংসদ সুনামগঞ্জ জেলা শাখার ব্যানারে আরো একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
সুনামগঞ্জ জেলা রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ স্বামী হৃদয়ানন্দ মহারাজের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন,রামকৃষ্ণ মিশনের সভাপতি ও সাবেক অধ্যক্ষ পরিমল কান্তি দে,সাধারন সম্পাদক যোগেশ্বর দাস,সহ-সভাপতি পরিতোষ চন্দ্র রায়,যুগ্ম সম্পাদক অলক দত্ত,জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি এড. বিমান কান্তি রায়,সাধারন সম্পাদক বিমল বণিক,জেলা হিন্দু,বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক এড. বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী,বিবেকানন্দ সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি পরিমল চন্দ্র দাস,রামকৃষ্ণ মিশনের সিলেট বিভাগের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল ভট্রাচার্য্য,সাগর চক্রবর্তী,গৌতম আচার্য্য,কনক চক্রবর্তী,নানু আচার্য্য গৌরী শংকর ভট্রাচার্য্য,সৌমেন বড়াল,বাংলাদেশ ব্রাক্ষ্রণ সংসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুবিমল চক্রবর্তী চন্দন,সিলেট বিভাগের সহ শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নারায়ন চক্রবর্তী,সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ভানু চক্রবর্তী, সারদা সংঘের সভানেত্রী প্রফেসর সবিতা বীর, সঞ্চিতা চৌধুরী,আরতি তালুকদার কলি প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দরা বলেন এই সম্প্রীতির বাংলাদেশে প্রায় সময়ই একটি মহল দ্বারা সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ,মন্দিরে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাংচুর ও নারী নির্যাতনের মতো জঘন্য ঘটনা একের পর এক চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে ফলে দেশে সম্প্রীতি বিনষ্ট হয়ে বিভাজন সৃষ্টি করা হচ্ছে। মনে রাখতে হবে পরাধীনতার শৃংখল ভেঙ্গে একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে মুক্তিযুদ্ধে কোন একক গোষ্টি অংশগ্রহন করেনি। প্রতিটি ধর্মের তৎকালীন সাড়ে সাতকোটি মানুষের অংশগ্রহনে দীর্ঘ নয়মাস মরণপণ লড়াই করে ত্রিশলাখ শহীদ ও দু’লাখ মাবোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত আজকের এই বাংলদেশটি। যেখানে প্রতিটি ধর্মের মানুষ নির্বিঘ্নে দেশে তাদের ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করবে। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরে ও দেশে এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে কারা লাভবান হচ্ছে আমাদের জানা নেই তবে এই সম্প্রীতি বিনষ্টের ফলে বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সম্প্রতি দূর্গাপূজা চলাকালীন সময়ে কুৃমিল্লা ও রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে হিন্দুদের বাড়িঘরে হামলা মন্দিরে প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় যারা জড়িত সকল অপরাধিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তি প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট দাবী জানানোর পাশাপাশি হিন্দুদের নিরাপত্তায় সংসদে একটি আইন পাশ করারও দাবী জানান।
Leave a Reply