১৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৫ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বুধবার

করোনার ঔষধ উদ্ভাবন করেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক করোনার ঔষধ উদ্ভাবন করেছেন। এর নাম ডেক্সামেথাসোন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া প্রায় ২ হাজার করোনা রোগীর দেহে এই ডেক্সামেথাসোন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছিল। তা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের ক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি ৪০ শতাংশ থেকে ২৮ শতাংশে কমে আসে। আর যেসব রোগীদের অক্সিজেন গ্রহণের প্রয়োজন হয়, সেসব রোগীদের মৃত্যুঝুঁকি ২৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে কমে আসে।

গবেষকেরা বলছেন, পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ক্ষেত্রে ডেক্সামেথাসোন নেওয়া রোগীদের ফলের সঙ্গে ওই ওষুধ না নেওয়া ৪ হাজার রোগীর অবস্থা মিলিয়ে দেখা হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের দেহে এই ওষুধটি এরই মধ্যে প্রয়োগ করা হচ্ছে। দেখা গেছে, রোগীর দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যখন অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে, তখন যেসব ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে, তা থামাতে ডেক্সামেথাসোন কার্যকর ভূমিকা রাখে। মানুষের দেহে যখন এই অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখাতে শুরু করে, তখন তাকে বলে সাইটোকাইন স্টর্ম। এটি রোগীর মৃত্যুর কারণ হতে পারে। ডেক্সামেথাসোন এ ক্ষেত্রে বেশ কার্যকর বলে গবেষণায় দেখা গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতি ২০ জন করোনারোগীর মধ্যে ১৯ জনেরই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয় না। আবার যারা হাসপাতালে ভর্তি হন, তাদের মধ্যেও অধিকাংশই সুস্থ হয়ে যান। তবে কারও কারও অক্সিজেন ও ভেন্টিলেশন সুবিধার প্রয়োজন হয়। এই উচ্চ ঝুঁকির রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রেই উপকারী হিসেবে পাওয়া গেছে ডেক্সামেথাসোনের নাম।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষণা দলের প্রধান অনুসন্ধানকারী ও অধ্যাপক পিটার হরবি বলেন, ‘এটাই একমাত্র ওষুধ, যার প্রয়োগে মৃত্যুহার কমতে দেখা গেছে এবং সত্যিকার অর্থেই বেশ ভালো পরিমাণে কমে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার।’

প্রধান গবেষক ও অধ্যাপক মার্টিন ল্যানড্রে বলছেন, গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা গেছে, প্রতি ৮ জন রোগী যাদের ভেন্টিলেটরের প্রয়োজন হয় তাদের মধ্যে একজনের জীবন বাঁচাতে পারে ডেক্সামেথাসোন। আর অক্সিজেন প্রয়োজন হয় এমন প্রতি ২০ থেকে ২৫ জন রোগীদের ক্ষেত্রে একজন রোগীর জীবন বাঁচানো যায়।

সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৃদু উপসর্গ থাকা করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে ডেক্সামেথাসোন খুব একটা কার্যকর নয়। অর্থাৎ যেসব করোনারোগীদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা হয় না, তাদের ক্ষেত্রে ডেক্সামেথাসোন প্রয়োজন নেই।

ডেক্সামেথাসোন বেশ পরিচিত একটি ওষুধ এবং দামেও অত্যন্ত সস্তা। সংশ্লিষ্ট গবেষকেরা বলছেন, যুক্তরাজ্যে প্রতিদিনের চিকিৎসায় ডেক্সামেথাসোন ব্যবহারের খরচ প্রায় সাড়ে পাঁচ পাউন্ড। দশ দিন পর্যন্ত ডেক্সামেথাসোন প্রয়োগ করার কথা বলা হচ্ছে। যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, করোনা মহামারির শুরুতে এই ওষুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেলে অন্তত ৫ হাজার মানুষের মৃত্যু ঠেকানো যেত।

এই ওষুধটিই করোনার চিকিৎসায় গুরুতর অসুস্থদের জীবন রক্ষা করতে সক্ষম। মূলত করোনায় আক্রান্ত যেসব রোগীর ভেন্টিলেশন ও অক্সিজেনের প্রয়োজন হয়, সেই সব রোগীদের জীবন বাঁচাতে ডেক্সামেথাসোন অত্যন্ত কার্যকর বলে দেখা গেছে। এটা এক ধরনের স্টেরয়েড। তবে মৃদু উপসর্গযুক্ত রোগীদের জন্য এই ওষুধ ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।