সাহাদাত শিকদার গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর খামারিদের প্রণোদনা দেওয়া জন্য ব্যবস্থা করে দেয় ।
খামারীদের প্রনোধনার টাকা পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য শ্রীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (এলএসপি)গ্ৰাম্য ডাক্তারদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা শুরু করে । উপজেলার সকল ইউনিয়নের খামারিদের প্রণোদনা দেওয়ার ক্ষেত্রে তালিকা সঠিক ভাবে করলেও ২ নং গাজীপুর ইউনিয়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এলাকাবাসী কর্তীক প্রাণিসম্পদ এর (এলএসপি) কর্মী পল্লীডাক্তার সারোয়ার এর বিরুদ্ধে ।
প্রাণিসম্পদ এর (এলএসপি) কর্মী পল্লী ডাক্তার সারোয়ার নিজমাওনা গ্ৰামের আরফান আলীর ছেলে । সারোয়ার শ্রীপুর উপজেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে (এলএসপি) কর্মী হিসেবে ৪ বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ ডাক্তার । সরকারি চাকরী করলেও প্রথম বছরেই সরকারের দেওয়া খামারিদের প্রণোদনার নামে বাণিজ্য শুরু করেন। তা ছাড়া নিজের খামারের জন্যেও তিনি সরকারি প্রণোদনা নিয়েছেন।
সরকারি প্রণোদনা দেয়ার জন্য খামারীদের কাছ থেকে প্রতিদান হিসেবে ২০০০/টাকা হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৬০০০/হাজার টাকা দিতে হয় প্রাণিসম্পদ এর (এলএসপি) কর্মী ডাক্তার সারোয়ারকে।
প্রণোদনার টাকা মোবাইলে আসার পর । যাদের খামার নেই বা গৃহপালিত পশু গরু নেই তাদের নামেও নিবন্ধন করে প্রণোদনার টাকা দেন মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে।
সারোয়ারের আত্মীয় স্বজন অনেকেই প্রণোদনা টাকা পেলেও প্রকৃত খামারিরা প্রণোদনা টাকা এখন পর্যন্ত পাইনি। নাম প্রকাশ করতে অনেক অনিচ্ছুক অনেক খামারি তাদের ভোটার আইডি কার্ড ছবি এবং প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সারোয়ার এর কাছে দিয়েও তার দাবি কৃত টাকা দিতে না পারায় সরকারের দেওয়া প্রণোদনা টাকা পাইনি। প্রণোদনা টাকা হাতে পেতে হলে সারোয়ারকে ২০০০ টাকা প্রথমে দিতে হয়। যারা ২০০০টাকা দিয়েছে তারাই প্রণোদনার টাকা পেয়েছে যারা দেয় না তারা এখনো আশায় রয়েছেন যে তাদের টাকা মোবাইলে আসবে ।
এই বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের (এলএসপি) কর্মী ডাক্তার সারোয়ার এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন যারা একমাত্র প্রকৃত খামারি নিতি তাদের নামই সরকারি লিষ্টে দিয়েছেন তা ছাড়া তিনি এ সময় কয়েকজন খামারির নাম বলেন তার লিষ্টে থাকা আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে আলাল মাষ্টার এর বাড়িতে গেলে আলাল মাষ্টার এর বাড়িতে কোন প্রকার খামার এর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে আলাল মাষ্টার এর বাড়িতে থেকে সামান্য দূরে একটি নির্মানাদিন বাড়িকে আলাল মাষ্টার এর স্ত্রী তাদের গরুর খামার বলে দাবি করেন আলাল মাষ্টার এর স্ত্রী প্রথমে তাদের ১০ টি গরু আছে বলে দাবি করেন কিন্তু তার গরু গুলো কোথাই আছে এ প্রস্ন করা হলে সে তার কোন প্রকার উত্তর দিতে পারেননি পরে আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে আলাল মাষ্টার এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন তার খামারে ১ টি মাত্র গরু আছে।
আলাল মাষ্টার কীসের জন্য এই সরকারি প্রণোদনা নিয়েছেন তা জানতে চাইলে তিনি বলেন ডাক্তার সারোয়ার তার বাড়িতে থাকা গরুটির চিকিৎসা করেন তাই ডাক্তার সারোয়ার তাকে সরকারি প্রণোদনার টাকা দিয়েছেন তা ছাড়া তিনি আর কিছু বলতে পারবেন না বলে ফোন কেটে দেয়।
খামারিদের অভিযোগ পাওয়ার পর শ্রীপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এর ডাক্তার রোকন উজ্জামান পলাশ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন সরকারি টাকা প্রদান করে কোন প্রকার টাকা খামারিদের কাছ থেকে নেওয়ার নিয়ম নেই যদি কেউ নিয়ে থাকে তা হলে অবশ্যই আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
গাজীপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার উকিল উদ্দিন বলেন শুধু পল্লী ডাক্তার সারোয়ার নয় তার সাথে যারাই জড়িত আছে তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রধান করা হবে।
Leave a Reply