২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

ভারতে দোল উৎসব এর ছুটিতে বেনাপোল – পেট্রাপোল বন্দর আমদানি রফতানি বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ সাগর হোসেন,বেনাপোল প্রতিনিধিঃ দেশের বৃহত্তর স্থল বন্দর বেনাপোল ভারতে দোল পূর্নিমা উৎসবের সরকারী ছুটি থাকায় আমদানি রফতানি বন্ধ রয়েছে। তবে বন্দর, কাস্টমস এর কর্যক্রম এবং পাসপোর্ট যাত্রীর যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।

সোমবার সকাল থেকে সকল প্রকার আমদানি রফতানি বন্ধ রয়েছে। তবে মঙ্গলবার থেকে আবার সচল হবে বলে জানা গেছে।

তবে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর সিএন্ডএফ এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন দোলযাত্রা সনাতন ধর্মালম্বীদের একটি ধর্মীয় উৎসব। বসন্তের এই উৎসবটি হোলি নামে পরিচিত। অশূভ শক্তির বিনাশ হিসেবে হোলি উৎসব হয়ে থাকে প্রতি বছর। এই উৎসবের কারনে আমদানি রফতানি সংক্রান্ত কাজের সাথে যারা যুক্ত যেমন সিএন্ডএফ মালিক, কর্মচারী, হ্যান্ডলিং শ্রমিক ও ট্রাক চালকরা নিজ নিজ ধর্মের এ উৎসব পালন করছে।

বেনাপোল চেকপোষ্ট কার্গো শাখার সুপার নাশিদুল হক বলেন, ভারতে হোলি উৎসব উপলক্ষে পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারকারীরা সোমবার আমদানি রফতানি বানিজ্য বন্ধ রেখেছে। ফলে সকাল থেকে এ পথে আমাদিন রফতানি হয়নি। তবে বেনাপোল বন্দরের পন্য খালাস ও কাস্টমস হাউজের শুল্কায়ন এর কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবে চলছে।

চেকপোষ্ট ইমিগ্রেশন এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবিব জানান, সোমবার দোল উৎসবে দু’দেশের মধ্যে আমদানি রফতানি বানিজ্য বন্ধ থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর নির্ঘুম রাত কাটছে এলাকাবাসীর

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : ১ মাসে ১৬ টি ছাগল চুরি
পর থেকে চোর আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটচ্ছে গ্রামের ছাগল মালিকরা। মইদুল ইসলামের ২ টি ছাগল চুরি হয়েছে। এর ধারাবাহিক এই চুরির ঘটনার পর থেকে গ্রামজুড়ে চোর আতঙ্ক
বিরাজ করছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলার পাঁচলিয়া গ্রাম থেকে গত ১মাসে ৯ বাড়ি থেকে ১৬ টি ছাগল চুরির ঘটনা ঘটেছে। পল্লী চিকিৎসক আব্দুল আলিমের ১টি, তহিদুল ইসলামের ১টি, আশরাফুল ইসলামের ৩টি, সাইদুল ইসলামের
১টি, জহির হোসেনের ১টি, দুরুদ মন্ডলের ১টি, তসলেম উদ্দিনের ২টি, ও আবু কালামের ২টি রয়েছে। চোরেরা ছাগল মেরে রেখে যায় আরও ১টি।
মইদুল ইসলাম বলেন, গত ১০ বছর ধরে আমি পঙ্গু হয়ে ঘরে পড়ে আছি। মাঠে অল্প একটু জমি আছে, তা থেকে খাবার ধানটা কোন রকম আসে। বাজার আর অন্যান ব্যয়ভার চলতো
আমার ছাগল বিক্রি করে। ছাগল ২টি পেয়েছিলাম আমি ছাগল পোষানি থেকে। তাও নিয়ে গেল চোরেরা। তিনি বলেন,
৩ছেলে মেয়ে আর স্ত্রী নিয়ে আমার সংসার। সংসারের আয় করি আমি একাই। এদিকে একের পর এক ছাগল চুরির ঘটনায় নির্ঘুম রাত কাটছে ওই গ্রামের ছাগল মালিক লালন খন্দকার ও মমিনুর রহমান। তারা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে
ছাগল পালন করে আসছি। এমন সমস্যা হয়নি কোনদিন
প্রায় দিন না ঘুমিয়ে রাত কাটছে এলাকাবাসীর। এ ব্যাপারে দোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বিশ্বাস বলেন, চুরির ঘটনা ঘটেছে আমি জানি। বিষয়টি উপজেলা আইন শৃঙ্খলা সভায় তোলা হয়েছে। তবে আজ পর্যন্ত কোনো
ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। কোটচাঁদপুরের লক্ষ্মীপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ( এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, চায়ের দোকানে গল্প শুনেছি ১/২ টা ছাগল চুরি হয়েছে। এই ব্যাপারে আজ পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ ও করেনি

ঝিনাইদহের৷কোটচাদপুর ১ মাসে ১৬ টি ছাগল চুরি