২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।শনিবার

সুবর্ণচরে হ্রাস পাচ্ছে আবাদি জমি সচেতন ব্যক্তিদের উদ্বেগ প্রকাশ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রাফুল উদ্দিন ঃ-

সুজলা-সুফলা, শষ্য-শ্যামলা নোয়াখালীর সুবর্ণচরের মানুষের প্রধান পেশা কৃষি। আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে সুবর্ণচরের কৃষিতে। ফলে উক্ত উপজেলায় কৃষিতে এসেছে বৈচিত্রতা। তাই এখানকার কৃষি নিয়ে গর্বের কমতি নেই মানুষজনের। পত্রিকার পাতায় খবর প্রকাশ হয় সুবর্ণচরের কৃষি নিয়ে। বিশেষ করে শশা, শীম, তরমুজ, সয়াবিন এর মৌসুমে কৃষকের হাসিমাখা মুখের ছবি দেশের প্রায় প্রতিটি পত্রিকায় স্থান পায়। এত গৌরবের উক্ত উপজেলাধিন আবাদি জমি প্রতি বছর ১ শতাংশ করে হ্রাস পাচ্ছে। আঁধারে ঢেকে যাচ্ছে যেন একখন্ড আলোর ঝিলিক।

 

সুবর্ণচরের আবাদি জমি প্রতি বছর হ্রাস পাওয়াতে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সচেতন সুবর্ণচরবাসী সহ অত্র অঞ্চলে কর্মরত অন্যান্য গুণীজনেরা।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, কৃষিতে সুবর্ণচরের যেমন রয়েছে সাফল্য, রয়েছে বিপুল সম্ভাবনাও। কৃষির প্রতি এখানকার মানুষ বেশ আন্তরিক। আমাদের ভালোবাসার জায়গা জুড়ে বাংলার কৃষি। সারা দেশের মতো করে সুবর্ণচরেও প্রতি বছরে হ্রাস পাচ্ছে আবাদি জমি। এটি উদ্বেগের বিষয় বলে মনে করি। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে- অপরিকল্পিত ভাবে নতুন নতুন বাড়ি ঘর, হাট বাজার, অফিস, ইট ভাটা ইত্যাদি নির্মাণ। আমি মনে করি এখনই এ সম্পর্কে আমাদের ভাবা উচিৎ।

 

বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী আলহাজ্ব মহি উদ্দিন মানিক বলেন, প্রিয় জন্ম ভূমি সুবর্ণচরের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড কৃষি। সুবর্ণচরের কৃষিতে সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে যুক্ত হয়েছে আধুনিকতা। খবর পেয়ে জানতে পেরেছি, সুবর্ণচরের কৃষি’র উত্তরোত্তর সাফল্যের লক্ষ্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা প্রিয় কৃষক ভাইদেরকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ প্রদান এবং সরকারি বরাদ্ধ যথাযথ ভাবে হস্তান্তর করেন। কৃষকেরা নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে মাটি চষে উৎপাদন করেন নানান পদের কৃষি ফলন। এতদ্ব সত্ত্বেও আমাদের জন্য হতাশার খবর- ইচ্ছে মতো আবাদি জমি’র ক্ষতি সাধন করে বাড়ি ঘর নির্মাণ। অপরিকল্পিত যে কোন কাজই উন্নয়নের অন্তরায়।

 

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক কাজী নজরুল ইসলাম বলেন, চোখ জুড়ে যায়; মন ভরে যায় সুবর্ণচরের মাঠে মাঠে ফসলের হাসি এবং আমার কৃষক ভাইদের মুখে আনন্দের হাসি দেখে। তারা উপজেলাধিন মানুষের খদ্যের চাহীদা মিটিয়ে শহরে বাস করা মানুষের খদ্যের চাহীদা মেটাতে রাখেন অপরিসীম ভূমিকা। তাদের উপার্জন হালাল। কিন্তু এখন শংকা হয় এই প্রিয় মানুষগুলো কতদিন আদি পেশায় টিকে থাকতে পারবেন ? যেখানে প্রতি বছর ১ শতাংশ হারে আবাদি জমি হ্রাস পাচ্ছে ! আমাদেরকে এই বিষয়ে এখনই সচেতন হতে হবে।

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।