২৪শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।৯ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বুধবার

সুনামগঞ্জের ছাতকে ভ্যাক্সিন নিশ্চিত করোনে উত্তর খুরমায় স্বাস্থ্য কর্মীদের সাথে মতবিনিময়।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

সেলিম মাহবুব, ছাতকঃ

ছাতক উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের সাবেক ১নং ওয়ার্ডের লোকজনের মধ্যে করোনা ভ্যাক্সিন প্রদান করা হবে। ৭ আগস্ট থেকে এ কার্যক্রম শুরু হবে। ইউনিয়নের সাবেক ১ নং ওয়ার্ড বর্তমানে ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের তিনটি কেন্দ্রে মোট ১ হাজার ৮০০ জনের মধ্যে ভ্যাক্সিন প্রদান করা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে ৬০০ জন করে ভ্যাক্সিন প্রদান করা হবে। ৮ আগস্ট আলমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৬০০ জনকে, ১০ আগস্ট মইশাপুর মাদরাসা কেন্দ্রে ৬০০ জনকে ও ১১ আগস্ট হাজী আব্দুল জব্বার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে আরো ৬০০ জনকে ভ্যাক্সিন প্রদান করা হবে। এ দিকে ইউনিয়নের মোহনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭ আগস্ট ভ্যাক্সিন দেয়া হবে বলে ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ জানিয়েছেন। পরবর্তীতে ইউনিয়নের অবশিষ্ট আরো ৬টি ওয়ার্ডের জনসাধারণকে করোনা ভ্যাক্সিন প্রদানের জন্য কেন্দ্র খুলে নির্দেশনা দেয়া হবে। উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সের ফেইসবুক পেইজে দেয়া ক্রমিক ২২,২৩,২৪ (উত্তর খুরমা ইউনিয়ন) থেকে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে টিকাদান কার্যক্রম সকাল ৯ ঘটিকা থেকে বেলা ২ ঘটিকা পর্যন্ত চলবে। ২৫ বছরসহ তদোর্ধ বয়সের ভ্যাক্সিন গ্রহিতাদের স্বাস্থ্যসুরক্ষাওয়েবসাইটে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করে এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সাথে নিয়ে কেন্দ্রে যেতে হবে। উত্তর খুরমা ইউনিয়নে ভ্যাক্সিন প্রদান শতভাগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বুধবার স্বাস্থ্য কর্মীদের নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শামছুর রহমান সহ ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কর্মী, ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারের পরিচালক ও সচেতন নাগরিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।

মুক্তাগাছা প্রতিনিধি:

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুরের দায়ের কোপে ভাতিজা বউ শিউলী আক্তার খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়নের গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি চালক শরিফুল ইসলামের স্ত্রী শিউলী আক্তার (৩০) স্বপরিবারে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় তার চাচা শ্বশুর মৃত নেওয়াজ আলীর পুত্র সোলায়মান মিয়া তাদেরকে ডাকা ডাকি করে ঘর থেকে বের হতে বলে। দরজা খুলে শরিফুল ও তার স্ত্রী শিউলী ঘর থেকে বের হলে সোলায়মান তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে। এক পর্যায়ে সোলায়মানের হাতে থাকা দা দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে শুরু করে। সোলায়মান দা’ দিয়ে শিউলীর ঘাড়ে কোপ দিলে শিউলী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে সোলায়মান দা নিয়ে শরিফুলকে ধাওয়া দিলে শরিফ প্রাণ বাঁচাতে পুকুরে লাফ দিয়ে প্রণে বাঁচায়। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে।
নিহত শিউলী একই উপজেলার মুজাটি গ্রামের মৃত হামেদ আলীর মেয়ে। গত ১২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। শিউলর ৫ মাসের মেয়ে শিশুসহ ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার বিকেলে শিউলীর ৬ বছরের মেয়ে লামিয়া এর সাথে সোলায়মানের পুত্রের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার জেরেই সকালে নিহতের বাড়িতে এসে তাদের ঘুম থেকে ডেকে এ খুনের ঘটনা ঘটান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, শনিবার সকালে উপজেলার গোয়ারী উত্তর গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠায়। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুড়ের দায়ের কোপে ৩ সন্তানের জননী খুন।