১৩ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৩০শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।শুক্রবার

সিলেটে ওমিক্রন শনাক্তের ‘সুযোগ’ নেই!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এম এ রশীদ বিশেষ প্রতিনিধি বাংলাদেশঃঃ

করোনাভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে। ওমিক্রনের প্রভাবে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। মারা যাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। বাংলাদেশেও ওমিক্রনের ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন (সামাজিক সংক্রমণ)’ হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা মন্তব্য করেছেন। এই ভ্যারিয়েন্ট সিলেটেও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন দায়িত্বশীলরা। কিন্তু সিলেটে কেউ ওমিক্রনে আক্রান্ত কিনা, তা জানার কোনো সুযোগই নেই!
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বেশ কয়েক মাস নিয়ন্ত্রণে থাকার পর চলতি মাসের শুরু থেকে সিলেটে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। গত প্রায় পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছেন এ সময়ে। মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে। ২২ দিন মৃত্যুহীন থাকার পর মৃত্যু দেখা গেছে গত সপ্তাহে। এরপর একদিনে মারা গেছেন আরও দুজন। এদের মধ্যে একজন দুই ডোজ টিকা গ্রহণ করার পরও আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
এই পরিস্থিতিতে সিলেটজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে। সিলেটে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কার কথা জানালেও এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের কোনো ব্যবস্থা এখানে নেই বলে জানিয়েছেন দায়িত্বশীলরা।
সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায় বলেন, ‘সিলেটে ওমিক্রন ছড়িয়ে যাওয়ায় সংক্রমণ বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে। ওমিক্রনের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন শুরু হয়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ওমিক্রনকে অনেকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না, হালকাভাবে নিচ্ছেন। কিন্তু সত্য বিষয় হচ্ছে, করোনাভাইরাসের সব ভ্যারিয়েন্টই বিপজ্জনক। কারো যদি শারীরিক জটিলতা থাকে, ডায়াবেটিস বা কিডনির সমস্যা থাকে, তবে ওমিক্রনে মৃত্যুও হতে পারে। এজন্য সবাইকে সতর্ক হতে হবে, সচেতন থাকতে হবে।’
সিলেটের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত বলেন, ‘ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের কোনো ব্যবস্থা বা ল্যাব নেই। ঢাকায় আইইডিসিআরে এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা হয়। তবে সিলেটে আইইডিসিআরের পর্যবেক্ষণ টিম কাজ করছে। তারা যখন প্রয়োজন মনে করবেন, নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠাবেন।’

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।