৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।রবিবার

লালমনিরহাটে সমাজসেবার তালিকায় নাম থাকলেও টাকা পাননি শতাধিক ভাতাভোগী।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ:

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী খাত কর্মসূচির আওতায় লালমনিরহাট জেলার ৪৫টি ইউনিয়নের ৪শত ৫টি ওয়ার্ড ও ২টি পৌরসভার ১৮টি ওয়ার্ডে মোট ১লক্ষ ৩১হাজার ৪শত ৩০জন ভাতাধারীকে তাদের ব্যক্তিগত বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বয়স্ক, বিধবা ও অস্বচ্ছল ভাতার ৩হাজার টাকা এবং প্রতিবন্ধী ভাতার ৪হাজার ৫শত টাকা করে মোট ৩৯কোটি ৪২লক্ষ ৯০হাজার টাকা পৌঁছে দিবে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন।

 

তাই গত ১৪ জানুয়ারি ২০২১ইং লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার ইউনিয়নে প্রথম পাইলট প্রকল্প হিসেবে কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করা হয়।

 

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন থেকে যদিও বলা হয়েছে যে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা বিতরণের কথা, কিন্তু এখনও ভাতার টাকা পাননি শতাধিক ভাতাভোগী।

 

উক্ত সমস্যা সমাধান করার জন্য প্রতিনিয়ত যেতে হচ্ছে সমাজসেবা কার্যালয়, ব্যাংক ও বিকাশ ডিস্ট্রবিউশন হাউজে। গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ পাচ্ছেন না বৃদ্ধ এবং প্রতিবন্দ্বী মানুষগুলো। নানা-অনিয়মের মধ্য দিয়ে ডিজিটালাইজেশনের তালিকায় যুক্ত হয়েছে অন্যকারো বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার।

 

ভুক্তভোগীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা নির্দিষ্ট সময়ে মোবাইল নাম্বার জমা দিয়েছি, যে বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার জমা দিয়েছি সেই নাম্বারে টাকা না দিয়ে অন্য কারো বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হয়েছে। উক্ত মোবাইল নাম্বারের সাথে আমাদের দেওয়া মোবাইল নাম্বারের কোনরূপ মিল নেই।

 

আমাদের দেওয়া বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বারের পরিবর্তে অন্যকারো বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার যুক্ত করা হয়েছে। উক্ত ভুল সংশোধনের জন্য আমাদের কাছে ৪-৫বার ভাতার বই এবং ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি জমা নিয়েছে কিন্তু এখনও আমরা ১টাকাও পাইনি। অথচ এর মাঝে ভাতা-গ্রহিতাদেরকে ৪বার টাকা প্রদান করা হয়েছে।

 

ভুক্তভোগীরা হলেন- মোঃ আমির আলী, ওমর আলী, সেকেন্দার আলী, জানিক মিয়া, সুরমাতন বেগম, ছালেমা বেগম, ইয়াদ আলী, ছকিনা বেগম, জরিনা বেগম, খোদেজা বেগম, মমেনা খাতুন, মজিবার মোল্লা, বদিয়ত জামানসহ শতাধিক।

 

এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করে কোন প্রকার সুফল মেলেনি।

 

সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষের কাছে ভাতাভোগীদের জোড়ালো দাবি যাতে উক্ত বিষয়গুলো আমলে নিয়ে দ্রুত এর সমাধান করা হয়।

 

উল্লেখ্য যে, ভাতাভোগী খোদেজা বেগম, বই নম্বর-১০৭০৭, আইডি নম্বর-০১৫২০০৪৯৩৫৫,(বয়স্কভাতা)। বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার-০১৮৬৫৬২৫৩৯০ এর স্থলে-০১৯৯৭৬৭৬৫৫২, জরিনা বেওয়া, বই নম্বর-১৮৮, আইডি নম্বর-০২৫২০০১৮৬৪৮ (বিধবা ভাতা) বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার-০১৭৬৫১১৭১৭৮ এর স্থলে-০১৭৬৫১১৭১৭৬, ছকিনা, বই নম্বর-৭০৮৫৯, আইডি নম্বর-০১৫২০০৪৫১১৫ (বয়স্কভাতা) বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার-০১৭৬১৭২৯৫২২ এর স্থলে-০১৭৬১৭২৯৫২৯, বদিয়জ্জামান,বই নম্বর-৬৭৫৯, আইডি নম্বর-০১৫২০০১৭২২২(বয়স্কভাতা) বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার-০১৩১০১৪২৮৪৫ এর স্থলে-০১৮৭২৯৪৮২৩৩, ছালেমা বেগম, বই নম্বর-১০৮০৫, আইডি নম্বর-০১৫২০০৫৩৮৬০(বয়স্কভাতা) বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার জমা হয়নি, তবুও এই মোবাইল নাম্বারে-০১৭৬০৪৯১৩৫৮ টাকা দেওয়া হয়।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।