১২ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।২৭শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বুধবার

লালমনিরহাটে পানির অভাবে বিপাকে কৃষক, ব্যাহত আমন ধানের চারা রোপণ ও পাট জাগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ:

ভরা বর্ষার মৌসুমেও উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাটে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা নেই। প্রকৃতির এ খাম-খেয়ালিতে চির-চেনা বর্ষা মৌসুম যেন এখন শুধুই কাগজ-কলমে। ফলে পানির অভাবে এ জেলার কৃষকরা আমন ধানের চারা রোপণ করতে পারছেন না। ডোবা-নালায় পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পাট জাগ দিতেও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে কৃষকের। ফলে বর্ষা মৌসুমেও জমিতে সেচ দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। অন্যদিকে জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ না হওয়ার উদ্বিগ্ন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারাও।

 

লালমনিরহাট খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কার্যালয়ে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খায়রুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, গত বছর বর্ষা মৌসুমে এ জেলায় ৮৭হাজার ২শত হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে চাষ হয়েছিল ৮৫হাজার ৫শত ৭৫হেক্টর। বৃষ্টির পানির অভাবে ১হাজার ৬শত ২৫হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করতে পারেননি কৃষকরা। এ বছর এ জেলায় ৮৫হাজার ৫শত ১৫হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ৫১হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা সম্ভব হয়েছে। বৃষ্টির পানির অভাবে ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিন ও বৈদ্যুতিক মোটর দিয়ে সেচের মাধ্যমে ৩৪হাজার ১৫হেক্টর জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করার চেষ্টা করছেন কৃষকরা। আষাঢ় মাস শেষ হয়ে গেছে, শ্রাবণও অর্ধেক চলে গেছে। এখন যদি প্রাকৃতিক নিয়মে বৃষ্টিপাত না হয়, তাহলে এবারও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রার জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা সম্ভব হবে না।

 

তিনি আরও সাংবাদিকদের বলেন, এ বছর ৪হাজার ৭৫হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। কিন্তু কৃষকরা পানির অভাবের কারণে পাট পচাতে পারছে না।

 

লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার ১০নং বড়বাড়ী ইউনিয়নের হরিঠাকুর এলাকার চাষী আব্দুল করিম মাস্টার সাংবাদিকদের বলেন, আমার ৩একর জমির মধ্যে ১একর আমন ধানের চারা রোপণ করতে পেরেছি। এখন ২একর জমি পানির অভাবে ধানের চারা রোপণ করতে পারছি না। কিছু জমিতে ডিজেল চালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে চাষ করার চেষ্টা করছি।

 

একই ইউনিয়নের হরিঠাকুর এলাকার শফিকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, শাহ জালাল মন্ডলও সাংবাদিকদের একই কথা বলেন।

 

লালমনিরহাট খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামীম আশরাফ সাংবাদিকদের বলেন, প্রাকৃতিক বিপর্যস্ততা মাথায় নিয়েই আমাদের পরিকল্পনা ও কাজ বাস্তবায়ন করতে হবে। এখন পর্যন্ত ৬০শতাংশ জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। বাকি জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করতে সেচ দিতে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি। ০১৭৩৫৪৩৮৯৯৯

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।