করোনা ভাইরাস মহামারী মধ্যে দিয়োও মাদক কারবারিরা ও জুয়া বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
লালমনিরহাটে ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল ও জুয়া চালান প্রবেশ এবং দেদার কেনাবেচা কোনোভাবেই থামছে না।
লালমনিরহাটে ৫ টি উপজেলার মধ্যে বেশিরভাগ সদর চলছে মাদক ও জুয়ার আড্ডা, প্রকাশ্যে চলছে মাদক ব্যবসা ও জুয়ার আসর।
ঈদকে সামনে রেখে ব্যস্ত পুলিশ। এই সুযোগে রাজধানীর পাড়া-মহল্লা, অলি-গলিতে প্রকাশ্যে চলছে মাদক বেচাকেনা ও জমজমাট জুয়ার আসর। মাদক বিক্রেতারা জানায়, ঈদকে সামনে রেখে পুলিশ এখন ব্যস্ত। দু’সপ্তাহ আগে ব্যস্ত ছিল জঙ্গিবিরোধী অভিযান নিয়ে। পুলিশের এই ব্যস্ততার সুযোগে মাদক বেচাকেনা বেড়েছে। কোনো কোনো এলাকায় নতুন করে জুয়ার আসর বসানো হয়েছে। কোথাও বন্ধ স্পট নতুন করে চালু হয়েছে
এলাকায় থানার সোর্সরা আসামি ধরার নামে পুলিশের সঙ্গে গাড়িতে ঘুরে বেড়ায়। তারাই টাকার বিনিময়ে মাদক ব্যবসার সুযোগ করে দেয়। আবার কেউ মাদক বিক্রিতে বাধা দিলে সোর্সরা তাদেরকে কৌশলে মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়
যানজট, ছিনতাইকারী, পকেটমার, অজ্ঞানপার্টি ইত্যাদি অপরাধ দমনের পাশাপাশি মাদক ব্যবসা বন্ধ করারও আদেশ ছিল। সুতরাং ঈদের অজুহাতে মাদক ব্যবসায়ীরা অবাধে ব্যবসা করবে বা করছে একথা সঠিক নয়। তবে পুলিশের এই দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি লালমনিরহাটে গোপীবাগে মাদক আখড়া নামে পরিচিত পাড়ার অলি-গলিতে গিয়ে। ঘরের পুরুষরা একটু আড়ালে থাকলেও নারীরা দিব্যি ব্যবসা চালিয়ে নিচ্ছেন।
দু’জন মানুষ কোনমতে হাঁটতে পারে এমন অলিগলি পার হয়ে হাত বাড়ালেই চালের ড্রাম, ওষুধের কৌটা থেকে বেরিয়ে আসছে ইয়াবা, ফেন্সিডিল। কথা বলে জানা গেল, গোপীবাগের ভেতরে মাদক বিক্রেতারা বেশি কিছুদিন ধরে বেশ আয়েশেই সময় কাটাচ্ছে। তাদের ধারণা, ‘পুলিশ এখন ব্যস্ত’।
লালমনিরহাটে মাদক বিক্রেতাদের এসব স্পট সম্পর্কে পুলিশের সবই জানা। তারপরেও ব্যবসা চলে, কখনও গোপনে, কখনও প্রকাশ্যে।মাদক ও জুয়া পুলিশকে ম্যানেজ করেই স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবসা করার চেষ্ট করে।
Leave a Reply