৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।মঙ্গলবার

লবঙ্গ চা পান করলে কী হয়?

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বাঙালির চা প্রেমের কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। যেকোনো আড্ডায়, অতিথি আপ্যায়নে, ক্লাসের ফাঁকে, অফিসের মিটিংয়ে চা থাকেই। ক্লান্তি কাটাতে, কাজে মনোযোগ নিয়ে আসতে চায়ের জুড়ি নেই। এই চা হয় আবার নানা স্বাদের। অনেকে চা নিয়ে নানা ধরনের এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালোবাসেন। স্বাদ ও গন্ধে সেসব চা হয়ে ওঠে অনেকের কাছে প্রিয়।

আদা চা, রং চা, লেবু চা, কালোজিরা চা, এলাচ চা, তুলসি চা, দুধ চা, মালাই চা, তন্দুরি চা- এমন অসংখ্য ধরনের চা রয়েছে। কোনোটি শরীরের জন্য একটু বেশি উপকারী, কোনোটি আবার কম। এসবের পাশাপাশি আরেকটি চা আছে যা আপনার জন্য উপকার বয়ে আনতে পারে। নাম তার লবঙ্গ চা।

লবঙ্গ চায়ের নানা উপকারিতা সম্পর্কে আমরা ঠিক জানি না। আপনি যদি লবঙ্গ চায়ের উপকারিতা সম্পর্কে জানেন, তবে এটি নিয়মিত খাওয়া উচিত। কারণ এই চা নানাভাবে আপনার শরীরের জন্য উপকার নিয়ে আসবে। অনেক রোগ ও সমস্যা সমাধানে কাজ করবে লবঙ্গ চা। বৃদ্ধি পাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও।

কিছু মশলা তথা উপাদান রয়েছে, যা চায়ে মিশিয়ে পান করলে শরীরের বহু রোগ দূর হতে পারে। এমনই এক মশলা হল লবঙ্গ। যদি আপনি নিয়ম মেনে লবঙ্গ চা পান করেন তাহলে আপনার অতিরিক্ত ওজন হ্রাস পেতে পারে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। এমনকি ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু কেন পান করবেন লবঙ্গ চা? সেক্ষেত্রে জানতে হবে লবঙ্গের উপকারিতা।

লবঙ্গের উপকারিতা

প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর লবঙ্গ নানাভাবে আমাদের শরীরের জন্য উপকার করে থাকে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। লবঙ্গে যে তেল থাকে তাতে ইউজেনল নামে একপ্রকার উপাদান পাওয়া যায়। এটি দাঁতের সমস্যা, মাড়িতে বা মুখের ভেতরে ঘা জাতীয় যেকোনো সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে। লবঙ্গ হলো অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। এর উপকারী উপাদানগুলো গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি কিংবা মাথা ব্যথা কমাতে কাজ করে।

আপনি যদি হজমের সমস্যায় ভুগে থাকেন তবে আপনার জন্য উপকারী পানীয় হতে পারে লবঙ্গ চা। লবঙ্গে আছে ইউজেনল। যা হজম প্রক্রিয়া কার্যকরী রাখতে সাহায্য করে। একথা নিশ্চয়ই জানা আছে যে খাবার ভালোভাবে হজম হলে শরীর সুস্থ রাখা সহজ হয়ে যায়। হজম ছাড়াও বিপাকক্রিয়া কার্যকরী রাখতে সাহায্য করে এই ইউজেনল। নিয়মিত লবঙ্গ চা পান করলে ভালো থাকবে আপনার ত্বকও।

লবঙ্গ চা যেভাবে তৈরি করবেন

এক চামচের মতো লবঙ্গ চূর্ণ করে নিন। এরপর এককাপ পানিতে লবঙ্গ মিশিয়ে ফুটতে দিন। ফোটানো হলে নামিয়ে হালকা ঠান্ডা করে নিন। এই চায়ের স্বাদ বাড়াতে পরিমাণমতো মধুও যোগ করে নিতে পারেন। প্রতিদিন সকালে পান করুন এই চা। তবে এটি প্রতিদিন এককাপই যথেষ্ট, এর বেশি পান করার দরকার নেই। উপকারী যেকোনো খাবারই অতিরিক্ত খেলে তা আর উপকারী থাকে না।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।