২৪শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।১০ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।শনিবার

রাজস্থলী তে অন্ধ বৃদ্ধ অসহায় জলিলের প্রধানমন্ত্রী উপহার দেয়া ঘর মিলেনি”।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

রাজস্থলী(রাঙামাটি) প্রতিনিধিঃ

 

রাঙামাটি জেলা রাজস্থলী উপজেলার ৩নং বাঙালহালিয়া ইউনিয়নের অর্ন্তগত শফিপুর মুন্সি পাড়া গ্রামের অধীবাসী অসহায় এক পরিবার মোঃ আব্দুল জলিল( ৭৫) দীর্ঘদিন ধরে অনেক কষ্ট জীবন মধ্যে দিয়ে কোন রকম একটি কুঁড়ে ঘরে বসবাস দিন পাড় করছে,তার সম্পত্তি বলতে কিছু নেই একটি মাত্র বেড়াকুঁড়ে ঘর, সেই বেড়া কুঁড়েঘরেই একা দীর্ঘদিন ধরে বসত করছেন এই বৃদ্ধ মোঃ আবদুল জলিল। আবদুল জলিল বলেন,পূর্বে ১২ বছর আগে নিয়মিত চোখের চিকিৎসা অভাবে চোখ হারান, এখন প্রায় ১৩ বছর ধরে দুচোখ অন্ধ জীবন নিয়ে কস্টের মধ্যে বেঁচে আছি। এই বৃদ্ধ পুরুষ পাশে আছেন তার মেঝ মেয়ে দেখাশোনা করছে,কিন্তু বর্ষা মৌসুমে রোদ বৃষ্টি ঝড়ে বাবা খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে ঈশ্বর বা আল্লাহর নিকট প্রার্থণা করেন কবে কখন আল্লাহ আমাকে সুন্দর একটি থাকার ব্যবস্থা ঘর করে দিবেন,কখন মোঃ আবদুল জলিল সুখে থাকা পরিবর্তনমুখ দেখব, সে অসহায়ত্বের দুঃখের দূরদর্শা পরিত্রাণ পেতে পারি। এদেশের মানসকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কি সেই অসহায় বৃদ্ধ অ ন্ধ পুরুষ করুন দুঃখের কান্না কি শুনতে পাবেন,বিভিন্ন কথা অকপটে বলে ফেললেন মোঃ আবদুল জলিল মেয়ে,জেসমিন গণমাধ্যম কে আরো বলেন আমি যখন যা পাই তাই করি দিন মজুরী দিনে আনে দিনে খায়, আমরা আমাদের সংসার চালাই, এতে বাবাকে ভরণ পোষণ করতে হয়। বৈসিক মহামারী করোনা চলাকালীন সরকারী কোন ত্রাণ সুযোগ-সুবিধা আমরা পাচ্ছি না,বাবার নামে ঘর আসলে ও সেই ঘরে পাচ্ছে পয়সাওয়ালা ও নেতাদের লোক নিকট আত্মীয়স্বজন এরা, আমরা তো ত্রিশ / পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে পারিনা, তাই গৃহহীন ঘর পাইনা।তার নিকট এই প্রতিনিধি প্রশ্ন করেন সরকার কি আপনাদের কাছ হতে ঘরের জন্য টাকা চেয়েছে তিনি বলেন সরকার / প্রশাসন কখনো টাকা নেয়না উনারা গরীবকে দেয় গরীবদেরকে সাহায্য করে।আমরা অনেকবার স্থানীয় মে ম্বার জনপ্রতিনিধির নিকট বার বার গিয়েছি এরা আমাদের কথা শুনেনা পাত্তা দেইনা, যদিও বা শুনেন পরে দেখা করেন বলে বিদায় করে দেয়। স্থানীয় বাসিন্দা সুশীল সমাজ মনে করেন অতিসত্বর উক্ত দুচোখ অন্ধ মোঃ আবদুল জলিল পাশে সরকার বিনয়ে দাঁড়ানো উচিত পাশাপাশি স্থানীয় নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিগণ কে আইনের আওতায় আনা উচিত কারণ এখনো কাজে সরকার প্রধানের উপর অনেক মানুষের ধ্যান্ত ভুল ধারণা চলে আসে। সে অসহায় গরীব বৃদ্ধ সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য স্থানীয় জেলা প্রশাসকের নিকট দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এলাকার স্থানীয় সচেতন মহলবৃন্দ।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।