মানুষ গড়ার কারিগর
(প্রয়াত শ্রদ্ধাভাজন দেলোয়ার হোসেন পন্ডিত স্যারের স্মৃতির উদ্দেশ্যে)
– মাসুদুল ইসলাম
এই যে মিয়া-মশাই সবে আছো যত পুরোনো সব ছাত্র
এই মুহূর্তে ফিরে পেলাম আবেগপূর্ণ দারুণ স্মৃতি মাত্র।
ছোট্টবেলায় পাঠ নিয়েছি পেয়েছি যত আদর অকৃপন
দেলোয়ার হোসেন পন্ডিত নামে স্যার ছিলেন একজন।
ছাত্র পড়াতেন ছাত্র শুধাতেন এলাকারও মুরুব্বি তিনি
শতবর্ষ গড়িয়ে গেলেও আমরা তাঁহারে ভালোই চিনি।
বয়স যত বেড়েছে স্যারের বেড়েছে তাঁর দেহের সৌন্দর্য
পড়াতেন তিনি ভূগোল ইতিহাস রাজা চন্দ্র গুপ্ত মৌর্য।
এই স্যারের কণ্ঠ ছিল শ্রুতিমধুর ভাষা ছিল সাবলীল
জল গড়িয়ে পড়তো চোখে-
শুনতাম যখন কুরবানির কাহিনী নবী ইব্রাহিম খলিল।
স্যার ছিলেন হস্তলিপিতে সিদ্ধহস্ত স্বাক্ষর করতেন যখন
পাকা সইয়ের সৌন্দর্য দেখে অবাক হতাম তখন।
শিক্ষক ছিলেন ঐতিহ্যবাহী গান্ধাইলের প্রাথমিক স্কুলে
মনন-মগজ পোক্ত হতো-
প্রবীণ দক্ষ দেলোয়ার পন্ডিত স্যার ছিলেন তার মুলে।
শিক্ষক তিনি ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষক তাদের মা-বাবার
সবার ওপরে সম্মান স্যারের শ্রদ্ধাও পেতেন সবার।
আরবি-পার্সি ভাষা জানতেন- জানতেন ইংলিশ সংস্কৃত
পাঠদানে তাঁর যাদুর মন্ত্রে মুগ্ধ হতাম- হতাম সবে প্রীত।
নিবাস স্যারের রতনকান্দি ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রাম
সিরাজগঞ্জ-কাজিপুরের সকল মানুষ জানতেন তাঁর নাম।
কত শিক্ষার্থী বড় হয়েছেন ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বাবু
বয়স কিন্তু করতে পারেনি স্যারকে কখনও কাবু।
ক্যাপ্টেন মনসুর প্রধানমন্ত্রী বাল্যবন্ধু এ প্রবীণ শিক্ষকের
এলাকায় এলে সম্মান দিতেন- মান্য করতেন মর্যাদা শিক্ষকের।
বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই স্যারের পবিত্র স্মৃতির প্রতি
মানবিকতার মুল্যবোধে তাঁর আদর্শের প্রতি নতি।
কত বছর অতীত হয়েছে- স্যার চলে গেছেন পরপারে
সবাই মোরা দোয়া করি-আল্লাহ যেন জান্নাতে দেন তাঁরে।
Leave a Reply