২৩শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৯ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।রবিবার

মাধবপুরে শিক্ষকের পিটুনিতে দশম শ্রেণীর ছাত্রী গুরুতর আহত:আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মাধবপুর প্রতিনিধি:হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শাহজিবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির দু’ ছাত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় তানিয়া আক্তারকে হবিগঞ্জ সদর আধূনিক হাসপাতালে ও সাবিকুন নাহার মীমকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি।

মঙ্গলবার দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান তানিয়া আক্তার ও মীমকে বেত এবং ডাস্টার দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। এছাড়া ওই শিক্ষকের মারপিটে আরো দু’ছাত্রী আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে বলে জানা যায়। ছাত্রীদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শাহজিবাজার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমানের মারপিটে গুরুত্বর আহত হয় মীম ও তানিয়া। মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে তাকে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট উসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন

মীমের চাচা অ্যাডভোকেট সাজিদুর রহমান সজল জানান, দুপুরে টিফিন বিরতিতে শ্রেণীকক্ষ থেকে বেড়িয়ে যায় মীম এবং তার সহপাঠিরা। নির্দিষ্ট সময়ের ৪ মিনিট পর ক্লাশে ফেরায় তাদের উপর চড়াও হন সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমান। এক পর্যায়ে তিনি বেত ও ডাস্টার দিয়ে আঘাত করতে থাকলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে মীম। পরে সহপাটি ও অভিভাবকরা তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেটে প্রেরণ করেন।

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত মেডিকেল অফিসার ডাঃ কামরুল ইসলাম জানান,মীমের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়েছে। একাধিকবার বমিও করেছে সে। মস্তিকে রক্তক্ষরণের আশঙ্কা থাকায় তাকে সিলেটে রেফার করা হয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক হাবিবুর রহমান বলেন, ক্লাশের সময় বাইরে থাকায় বেত দিয়ে দু’টি আঘাত করেছি।

প্রধান শিক্ষক মো. আবুল হোসেন বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক ভাবে বহিস্কার করা হয়েছে। ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মল্লিকা দে জানান-আমি সারাদিন উপজেলার বাহিরে ছিলাম। ঘটনাটি কিছুক্ষন আগে শুনেছি। অবশ্যই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।