১৯শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৬ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বুধবার

মশা নিধন ও ডেঙ্গু জ্বর রোগ-প্রতিরোধে জেলা পুলিশের অভিযান-২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ আলমগীর হোসেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি,,

“খাল খন্দক, ঝোপঝাড়ে, এডিস মশা ডিম পাড়ে
এডিস মশা নিধন কর, ডেঙ্গু জ্বর রোধ কর” এবং বাড়ির আঙ্গিনা ও আশপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন ডেঙ্গু জ্বর হতে মুক্ত থাকুন। এই স্লোগান কে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অভিভাবক সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ জাহিদুল ইসলাম দিক-নির্দেশনায় ও সরাসরি অংশগ্রহণে অত্র জেলার প্রত্যেকটি পুলিশ ইউনিটে একযোগে মশা নিধন ও ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধ পরিস্কার পরিছন্নতা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

পুলিশ সুপার নিজে পুলিশ সুপারের কার্যালয়, বাসভবন ও চুয়াডাঙ্গা থানা কম্পাউন্ড এলাকা পরিস্কার পরিছন্নতার তদারকি ও অংশগ্রহণ করেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জনাব মোঃ আবু তারেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) জনাব কনক কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব জাহাঙ্গীর আলম, সহকারি পুলিশ সুপার (শিক্ষানবীশ) জনাব মোঃ সাজিদ হোসেন উপস্থিত থেকে পুলিশ লাইন্স, দামুড়হুদা মডেল থানা, আলমডাঙ্গা থানা, জীবননগর থানা ও দর্শনা থানা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার তদারকি ও নেতৃত্ব প্রদান করেন। অন্যান্য পুলিশ ইউনিট সমূহের ইনচার্জগনদের কে একযোগে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার নির্দেশ প্রদান করেন।

এসময় পুলিশ সুপার বলেন, ‘বাংলাদেশে ১২৩ প্রজাতির মশা রয়েছে। বর্তমানে সারাদেশে প্রায় ১৪ প্রজাতির মশা পাওয়া যায়। মশা সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে মশার প্রজাতি ও আচরণভেদে নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আলাদা হতে হবে। মশাকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে প্রয়োজন সমন্বিত ব্যবস্থাপনার। সমন্বিত ব্যবস্থাপনার চারটি অংশ রয়েছে। প্রথমত, মশার প্রজননস্থল কমানো এবং ধ্বংস করে পরিবেশগত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সহজভাবে মশা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দ্বিতীয়ত, জীবজ নিয়ন্ত্রণ, অর্থাৎ উপকারী প্রাণীর মাধ্যমে মশাকে নিয়ন্ত্রণ করার বিভিন্ন পদ্ধতি পৃথিবীতে প্রচলিত আছে। তৃতীয়ত, মশা নিয়ন্ত্রণে লার্ভিসাইড এবং অ্যাডাল্টিসাইড কীটনাশক ব্যবহার করা।

সকলের সম্পৃক্ততা ছাড়া মশা নিয়ন্ত্রণে সফল হওয়া দুষ্কর। তাই এ প্রক্রিয়ায় জনগণকে সম্পৃক্ত করার জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া দরকার। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু হয়েছিল ২০১৯ সালে। জুন, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর—এই চার মাস ডেঙ্গুর মৌসুম। এ সময়ে সতর্ক থাকলে ডেঙ্গু থেকে মুক্ত থাকা সম্ভব। ডেঙ্গু এডিস মশাবাহিত একটি ভাইরাসঘটিত জ্বর রোগ। এই ভাইরাস বহন করে এডিস ইজিপ্টি ও এডিস এলবোপিকটাস প্রজাতির মশা।

এডিস ইজিপ্টি স্বভাবগতভাবে গৃহপালিত। এই মশা ডেঙ্গু বিস্তারে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ ভূমিকা রাখে। আর এডিস এলবোপিকটাস, যাকে ‘এশিয়ান টাইগার’ মশা বলা হয়, বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামেই এ মশা রয়েছে। এই প্রজাতি ডেঙ্গু বিস্তারে ৫ থেকে ১০ শতাংশ ভূমিকা রাখে।

পুলিশ সুপার আরোও বলেন, এডিস মশার জন্ম হয় জমে থাকা পানিতে। সপ্তাহে অন্তত এক দিন বাড়ি এবং বাড়ির চারদিক দেখতে হবে। কোথাও কোনো পাত্রে পানি জমে আছে কি না, যদি থাকে, তাহলে তা ফেলে দিতে হবে বা পরিষ্কার করতে হবে। যদি পাত্রটি এমন হয় যে পানি ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না, তাহলে সেখানে ব্লিচিং পাউডার বা লবণ দিতে হবে।

বাড়ির পাশে কোনো নির্মাণাধীন ভবন থাকলে, সেটির মালিককে সামাজিকভাবে চাপ প্রয়োগ করতে হবে যেন বাড়িতে মশা জন্মানোর স্থান তৈরি না করেন। পরিশেষে, পুলিশ সুপার মহোদয় চুয়াডাঙ্গাসহ সারাদেশবাসিকে মশা নিধন ও ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে নিজ উদ্যোগে আবাসিক এলাকাসমূহ পরিস্কার পরিছন্নতার আহব্বান জানান।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।