১৪ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।২৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।সোমবার

বড়লেখায় হাকালুকি হাওরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অবৈধ বেড়জাল ও কারেন্ট জাল জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

মোঃ জাকির হোসেন জুড়ী (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ

হাকালুকি হাওরের মৌলভীবাজারের বড়লেখা অংশের গ্রুপবদ্ধ জলমহাল ও বিভিন্ন বিলে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৬০ মিটার অবৈধ বেড়জাল ও কারেন্ট জাল জব্দ করেছে।

সোমবার (০২ আগস্ট) সকাল আটটা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত প্রায় আটঘন্টা এই অভিযান চালানো হয়। তবে প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে মাছ শিকারিরা পালিয়ে যায়। এ কারণে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী। এতে সহায়তা করেছে বড়লেখা থানা পুলিশ।

সূত্র জানায়, হাকালুকি হাওরের বড়লেখা অংশের জল্লা, ফাড় জল্লা, বালিঝুরি গ্রুপবদ্ধ জলমহাল ও পিংলা, মাইছলা, পলোভাঙ্গাসহ বিভিন্ন বিল থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে নিষিদ্ধ বেড়জাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে শিকারিরা মাছ শিকার করছে। এতে হাওরে মাছের প্রজননের হার কমছে। পাশাপাশি হাওরের জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (০২ আগস্ট) সকাল আটটায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলীর নেতৃত্বে হাওরে অভিযান চালানো হয়। এসময় হাওরের জল্লা, ফাড় জল্লা, বালিঝুরি গ্রুপবদ্ধ জলমহাল থেকে নিষিদ্ধ ১০৫ মিটার অবৈধ বেড়জাল এবং হাওরের পিংলা, মাইছলা, পলোভাঙাসহ বিভিন্ন বিল থেকে প্রায় ৬০ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। তবে প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে মাছ শিকারিরা পালিয়ে যায়। ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দকরা জালগুলো বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী সোমবার বিকেলে বলেন, হাওরে মাছের প্রজনন ও বাস্তুসংস্থান বিনষ্ট করে অবৈধ জালের ব্যবহার বন্ধের পাশাপাশি ইজারাবিহীন সরকারি জলমহালে অবৈধভাবে মাছ আহরণ বন্ধ করার লক্ষ্যে হাকালুকি হাওরে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বেশ কিছু বেড়জাল ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। পরে জালগুলো পুড়ানো হয়েছে। তিনি জানান, হাকালুকি জীববৈচিত্র্য রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।