২৫শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১০ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।বৃহস্পতিবার

বকশীগঞ্জ ইউএনও মুন মুন জাহান লিজাকে নিয়ে রশিটানাটানি।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

 

বকশীগঞ্জ(জামালপুর)প্­রতিনিধি :

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিয়োগ না দিয়ে হঠাৎ করে স্ট্যান্ড রিলিজ করায় বিপাকে পড়েছে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মানুষ।এদিকে বকশীগঞ্জের ইউএনওকে দেওয়ানগঞ্জে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়ায় কর্মস্থলে অনুপস্থিতের কারণে ভোগান্তিতে রয়েছে বকশীগঞ্জের মানুষ।

জানা যায়, ৭ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করেই স্ট্যান্ড রিলিজ করে দেওয়ানগঞ্জের ইউএনও এ.কে.এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদকে। এরপর থেকে দেওয়ানগঞ্জ প্রশাসনিক শুন্যতা বিরাজ করে।পরবর্তীকালে বকশীগঞ্জের ইউএনও মুনমুন জাহান লিজাকে দেওয়ানগঞ্জের ইউএনও হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়। অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়ায় মুনমুন জাহান লিজা বেশিরভাগ সময়ই বকশীগঞ্জ কর্মস্থলে অনুস্থিত থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে বকশীগঞ্জের মানুষ।দেওয়ানগঞ্জ ও বকশীগঞ্জের মধ্যে দূরুত্ব ১৭ কিলোমিটার হলেও অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে দুই উপজেলায় যাতায়াতে সময় ব্যয় হয় ঘণ্টারও বেশি।আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস, জলাতঙ্ক দিবস, ভোক্তা অধিকার দিবসসহ গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভায় বকশীগঞ্জের মুনমুন জাহান লিজার অনুপস্থিতেই করা হয়েছে। এছাড়া কন্যা দিবসে বকশীগঞ্জে শুধু ফটোসেশন করেই এক উপজেলা থেকে আরেক উপজেলায় দৌড়াদৌড়ি ইউএনও লিজাকে।এদিকে দেওয়ানগঞ্জে গুরুত্বপূর্ণ সহকারী কমিশনার (ভূমি) পদটিও দীর্ঘদিন শুন্য থাকায় কার্যত প্রশাসনিক শুন্যতা বিরাজ করছে দেওয়ানগঞ্জে।

এ বিষয়ে জামালপুর জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান জানান, দেওয়ানগঞ্জে বর্তমানে শেরপুর সদর উপজেলায় কর্মরত শেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফিরোজ আল মামুনকে বদলি করা হয়েছে।

এই বদলি আদেশ কার্যকর হলে এই সমস্যা সমাধান হবে।

 

 

 

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।

মুক্তাগাছা প্রতিনিধি:

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুরের দায়ের কোপে ভাতিজা বউ শিউলী আক্তার খুন হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়নের গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার গোয়ারী উত্তর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা সিএনজি চালক শরিফুল ইসলামের স্ত্রী শিউলী আক্তার (৩০) স্বপরিবারে ঘুমাচ্ছিল। এ সময় তার চাচা শ্বশুর মৃত নেওয়াজ আলীর পুত্র সোলায়মান মিয়া তাদেরকে ডাকা ডাকি করে ঘর থেকে বের হতে বলে। দরজা খুলে শরিফুল ও তার স্ত্রী শিউলী ঘর থেকে বের হলে সোলায়মান তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালজ করে। এক পর্যায়ে সোলায়মানের হাতে থাকা দা দিয়ে এলোপাতারি কোপাতে শুরু করে। সোলায়মান দা’ দিয়ে শিউলীর ঘাড়ে কোপ দিলে শিউলী ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে সোলায়মান দা নিয়ে শরিফুলকে ধাওয়া দিলে শরিফ প্রাণ বাঁচাতে পুকুরে লাফ দিয়ে প্রণে বাঁচায়। পরে প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে।
নিহত শিউলী একই উপজেলার মুজাটি গ্রামের মৃত হামেদ আলীর মেয়ে। গত ১২ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। শিউলর ৫ মাসের মেয়ে শিশুসহ ৩ কন্যা সন্তান রয়েছে।
উল্লেখ্য গত শুক্রবার বিকেলে শিউলীর ৬ বছরের মেয়ে লামিয়া এর সাথে সোলায়মানের পুত্রের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া হয়। সেই ঝগড়ার জেরেই সকালে নিহতের বাড়িতে এসে তাদের ঘুম থেকে ডেকে এ খুনের ঘটনা ঘটান।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জহিরুল ইসলাম মুন্না জানান, শনিবার সকালে উপজেলার গোয়ারী উত্তর গ্রামে হত্যার ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পাঠায়। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

মুক্তাগাছায় চাচা শ্বশুড়ের দায়ের কোপে ৩ সন্তানের জননী খুন।