২১শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ।৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ।বুধবার

প্রাণ ফিরেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

এম এ রশীদ সিলেট থেকেঃঃ

 

মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর খুলেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) হলগুলো। এতেই যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে দেশের অন্যতম এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি।সোমবার (২৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় অনলাইন প্লাটফর্ম জুমে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে হল প্রত্যাবর্তনের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এ সময় শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে বরণ করে নিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) হল প্রশাসন।উদ্বোধনকালে উপাচার্য বলেন, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আমাদের আবাসিক হল খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের পদচারণয় ক্যাম্পাসে আবারো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে। সামনে আরও নতুন নতুন হল হবে, এগুলো সম্পূর্ণ আধুনিকায়ন করে তৈরি করা হবে। ইতোমধ্যে আমরা শিক্ষার্থীদের এক ডোজ টিকা নিশ্চিতের ব্যবস্থা করেছি। তবুও কোন শিক্ষার্থী বাদ পড়লে তাদের দ্রুত টিকার আওতায় নিয়ে আসবো। এছাড়া শিক্ষার্থীদের হলে থাকতে হলে বৈধতা থাকতে হবে। বৈধতা ছাড়া কোন শিক্ষার্থী হলে থাকতে পারবেন না।তিনি বলেন যেসব শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই তাদের জন্য ক্যাম্পাস খুললে এক সপ্তাহের মধ্যে পরিচয়পত্র নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হবে। সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলে অবস্থান করা আহ্বান জানাই। পরিশেষে হল প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান উপাচার্য।অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মোহাম্মদ সামিউল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক মো. জহীর উদ্দিন আহমদ। অন্যান্যদের মধ্যে প্রক্টর ড. আলমগীর কবীর, রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।সভাপতির বক্তব্যে মোহাম্মদ সামিউল ইসলাম বলেন, ‘অনেকদিন পর শিক্ষার্থীরা হলে ফিরছে। এতে আবারো মুখরিত হচ্ছে ক্যাম্পাস ও হল। ইতোমধ্যে আমরা হলের ডাইনিং ও কিচেন রুম নতুনভাবে সংস্কার করেছি। হলের সৌন্দর্য বর্ধনে চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীরা তাদের আবাসস্থলে ফিরতে পেরে আমরা আনন্দিত।অনলাইনে যুক্ত ছিলেন, শাহপরান হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ মিজানুর রহমান খান, সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ আবু সাঈদ আরফিন খাঁন, প্রথম ছাত্রী হলের প্রভোস্ট ড. জায়েদা শারমিন। এছাড়া বিভিন্ন হলের কর্মকর্তা-কর্মচারী, আবাসিক শিক্ষার্থী, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।