৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ।শুক্রবার

পর্নোগ্রাফি আসক্ত থেকে কোটিপতি বনে গেলেন যুবক!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত ছিলেন এক যুবক। সেই যুবকই এমন কাজ করলেন, যা এখন সকলের প্রশংসা পাচ্ছে। পর্ন দেখার অভ্যাস ছাড়াতে ওই যুবক তার সংগ্রামের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করলেন, যা এখন পর্ন আসক্তদের ৯০ দিনের মধ্যে এই খারাপ নেশা থেকে লোকদের মুক্তি দিতে পারে।

জ্যাক জেনকিনস নামের ওই যুবক নিজে পর্ন দেখার প্রতি খারাপ আসক্ত ছিলেন। যার কারণে তিনি কোনও কাজে মন লাগাতে পারছিলেন না। তবে জেনকিনস নিজে এই নেশা ছাড়ার বিষয়ে শপথ করেছিলেন।

জ্যাক তার অতীত সম্পর্কে বলেন, “এই আসক্তিটি আমার জীবনকে কেবল নষ্ট করছিল তাই না, এটি একটি বদ অভ্যাস ছিল যা আমাকে আমার সেরা কাজ থেকে বিরত রাখছিল। এটি একটি নিষিদ্ধ বিষয়। আমি অশ্লীলতা হিসেবে দেখি না- বিষয়টিকে। বরং এটিকে ‘আমি ধূমপান করি না’ বলার মতো স্বীকার্য বিষয় বানাতে চাই।”

নিজেই এই আসক্তি থেকে দূরে সরে যাওয়ার পরে জেনকিনস একটি অ্যাপ তৈরির করেন, যা লোকদের পর্ন আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে। জ্যাক জেনকিনস ‘গুডকুইট পর্ন ফর গুড’ নামে একটি অ্যাপ তৈরি করেছেন, যা এই জাতীয় লোকদের ৯০ দিনের মধ্যে পর্ন আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে।

এটিতে টেকনোলজি এবং মানবিক সহায়তা উভয়ের সমন্বয় রয়েছে, যাতে যেকোনও ব্যক্তি এই আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই জেনকিনস অ্যাপটি ১ লাখেরও বেশি বার ডাউনলোড করা হয়েছে।

ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির ছাত্র ৩১ বছরের জ্যাকের নিজের “খারাপ অভ্যাস” থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ২০১৯ সালে এই আইডিয়া মাথায় আসে। এখন পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা তার অ্যাপ্লিকেশনটিতে ৯,২০,০০০ ইউরো অর্থাৎ প্রায় ৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে এবং এখন এটি লোকেরা ভীষণভাবে ব্যবহার করছে।

এই অ্যাপে পর্ন সাইটগুলোতে অ্যাক্সেস আটকাতে একটি “লক ফোন” ফাংশন রয়েছে, যা এই জাতীয় মানসিক অবস্থার মানুষকে সাহায্য করে। এই ক্ষেত্রে, ইউকে রিহ্যাব নামে একটি সংগঠন বলেছে যে তারা যখন এই জাতীয় মামলাগুলো তদন্ত করে, তখন কখনও কখনও ১৩ বছরের শিশুদেরও এর শিকার হতে দেখা যায়। সূত্র: মিরর অনলাইন

এই পোস্টটি আপনার সামাজিক মিডিয়াতে সেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

রনজিৎ বর্মন শ্যামনগর(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধি ঃ

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) রাত সাড়ে দশটায় শ্যামনগর উপজেলা সদরের নিকবর্তী গোপালপুর সড়কে কুলখালী নামক স্থানে দূর্ঘটনাটি ঘটে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় রাত সাড়ে দশটায় নিজ বাইসাইকেল যোগে নিজ বাড়ী উপজেলার নুরনগর ইউপির নুরনগর গ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন। এ সময় গোপালপুর মুক্তিযোদ্ধা সড়কে কুলখালী নামকস্থানে নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের গর্তে সাইকেল সহ পড়ে যান। নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের বাহিরে বের হওয়া লোহার রড তার মাথায় ছিদ্র হয়ে ঢুকে যেয়ে এক পাশ থেকে অপরপাশে বের হয়ে যায় পর স্থানীয়রা শ্যামনগর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন।

শ্যামনগর প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি আকবর কবীর বলেন কিছুদিন পূর্বে এই বক্স কালভার্ট তৈরী করতে যেয়ে একই সড়কে মোমিন মল্লিক নামে এক শ্রমিক মারা যান। তিনি আরও বলেন  নির্মানাধীন বক্স কালভার্টের  ঠিকাদার হিসাবে কাজ করছেন এস এম আবুল বাসার।

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর ভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরা-৪ আসনের এমপি এস এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা প্রেসকাবের আহবায়ক শেখ আফজালুর রহমান সহ সকল সাংবাদিকবৃন্দ, সুন্দরবন প্রেসকাবের সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।

ছবি- নিহত নীলাকাশ টুডের সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান।

রনজিৎ বর্মন
তাং-২৭.৭.২৪

নীলাকাশ টুডের সম্পাদক নুরুজ্জামান সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত।

অরবিন্দ কুমার মণ্ডল, কয়রা, খুলনাঃ

খুলনার কয়রায় জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খুলনা জেলার আয়োজনে ও কয়রা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় এ সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সচেতনতামূলক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আলম।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, কয়রা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম বাহারুল ইসলাম, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শিকারী, বাঙ্গালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ গাজী, আমাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জুয়েল সহ সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ।

নিরাপদ খাদ্যের মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন খুলনা জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসার মোঃ মোকলেছুর রহমান।

কয়রায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত।